চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২৫/৩০ বছর যাবত কর্মরত জাতীয় স্কেলে বেতন প্রাপ্ত ব র্মচারীদের মৌলিক অধিকার, স্থায়ী চাকুরী কর্মচারী হিসাবে গণ্য করে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে ন্যাস্ত করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে জানানো হয় ২৫/ ৩০ বছর যাবত প্রথমে ক্যাজুয়েল, ১৯৯৭ ইংরেজীর ১ জুলাই মাস্টাররোল, পরবর্তীতে সরকারী বিধি বিধান পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে কিছু শর্ত আরোপ করে ২০০৬ সালের ১২ মার্চ হতে মন্ত্রণালয় কর্তৃক ওয়ার্কচার্জড হিসাবে বিটিটিবিতে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা জাতীয় স্কেলে বেতন, ইনক্রিমেন্ট ও টাইম স্কেলের মাধ্যমে ১৯তম গ্রেডে উন্নীত হয়। তারা সুদীর্ঘ বছর যাবত সর্বোচ্চ মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার আলোকে বিভিন্ন স্থায়ী পদের বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। এত শ্রম দেয়ার পরেও পদবিন্যাস অনুযায়ী স্থায়ী চাকুরী (পেনশনভূক্ত) হতে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তাছাড়া ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে অস্থায়ী কর্মচারী দ্বারা পূরণের নির্দেশ থাকা সত্তে¡ও সংসদে পাসকৃত উদ্ভূত সরকারী কর্মচারী আত্ত¡ীকরণ আইন’১৬ অত্র প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নের কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যার কারণে আমরা শ্রমিক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী নিয়োগ থেকে বঞ্চিত। ফলে আমাদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও তাদের চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় কর্মচারীরা শঙ্কিত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। রাজস্ব আয়ে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী তারাই আজ সবচেয়ে সুবিধা বঞ্চিত এবং অবহেলিত।
এমতাবস্থায় নির্যাতিত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের প্রাণের দাবীগুলো ২৫/৩০ বছর যাবত জাতীয় স্কেলের বেতন প্রাপ্তি বঞ্চিত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার, স্থায়ী চাকুরী কর্মচারী হিসাবে গণ্য করে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে ন্যাস্ত করতে হবে। মৃত ও অবসর জনিত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের ৩০০ মাসের আনুতোষিক ভাতা প্রদান করতে হবে। সকল ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের সার্ভিস বুক, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এজি, সেগুন বাগিচা, ঢাকা কর্তৃক প্রতিপাদন করার ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের স্ব স্ব কাজের বিভাগীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের ব্যাতিরেকে সকল প্রকার বহিরাগত নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।