Connect with us

চট্রগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত কলেজ শিক্ষক সমিতির সংবর্ধনা

Published

on

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কলেজ শিক্ষক সমিতি সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন সিটি মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কলেজ শিক্ষক সমিতি সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:  চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কলেজ শিক্ষক সমিতি সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন ।

মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, অতীতের অনিয়ম দূর্ণীতি থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ম নীতির আলোকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছরের সময়ের মধ্যে গৃহিত সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ঋনী ও দূর্ণীতিগ্রস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে একটি স্বাবলম্বি ও নীতি আদর্শের মডেল কর্পোরেশনে পরিণত করা হবে।

ঋনী ও দূর্ণীতিগ্রস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে একটি স্বাবলম্বি ও নীতি আদর্শের মডেল কর্পোরেশনে পরিণত করা হবে

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল, এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিসেস আঞ্জুমান আরা বেগম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল কবির চৌধুরী, পাঁচলাইশ এস এম নাছির উদ্দিন মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস জয়নাব বেগম, কায়সার নিলুফার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, পূর্ব বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস মনোয়ার জাহান, কাপাসগোলা মহিলা কলেজের সরোয়ার জাহান।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতা টিংকু চক্রবর্তী ও জিন্নাত পারভিন। প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, শিক্ষকতা মহৎ ও মহান পেশা। শিক্ষকরা সমাজের সচেতন ও অগ্রসর অংশ। তাদের হাতে গড়ে উঠে আলোকিত মানুষ। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষকদের। মেয়র বলেন, তিনি চান শিক্ষক সমাজের ললাটে কোন কালিমার চিহ্ন থাকবে না। অনৈতিক কোন কর্মকান্ডে তারা জড়িত হবে না। অতীতের অনিয়ম, দূর্ণীতি ও দুঃশাসনের পূণরাবৃত্তি তিনি আর চান না। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সৎ সাহস শিক্ষকদের থাকতে হবে। সাদাকে যিনি সাদা বলেন না, যিনি কালোকে কালো বলেন না তিনি শিক্ষক হওয়ার কোন নৈতিক অধিকারই রাখেন না।

মেয়র বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিদিন পাঠদানের পূর্বে কয়েক মিনিট নীতি-আদর্শ ও মূল্যবোধের উপর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হবে। আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা-চেতনা পরিহার করে আদর্শ নীতিবান ও দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষকদের কোন দল নেই, তাদের মধ্যে কোন হানাহানি সংঘাত, বিদ্বেষ ও প্রতি হিংসার মত কোন প্রবণতা থাকতে পারে না। মেয়র বলেন, তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন। সেবা দেয়াই তার মূল ব্রত। তাই তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি বিভাগ ও শাখাকে নীতি কানুন ও বিধি বিধানের ভিত্তিতে পরিচালনায় বিশ্বাস করেন।

তিনি বলেন, নগরবাসীকে দেয়া তার অঙ্গিকার শতভাগ পূরণ করতে চান। আগামী ১ বছরের মধ্যে নগরীর চিত্র পরিবর্তন করা হবে বলে মত প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গক্রমে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীদের পরিবার পরিজনের দ্বারা সৃষ্ট ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রত্যেক শিক্ষক ও ছাত্রকে সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা পালন করার জন্য তৈরী থাকতে হবে এবং তাদের প্রতিবেশিদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই শিক্ষা গ্রহণ করা জন্য সহযোগিতা করতে হবে। সিটি মেয়র আরো বলেন, নগরীকে পরিচ্ছন্ন করাই নয়, এ নগরীকে গ্রীণ সিটিতে পরিণত করা হবে। ইতোমধ্যে গ্রীণ সিটির আলোকে নগরীকে বিউটিফিকেশনের আওতায় আনায়ণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকেও নগরীকে মুক্ত করার কর্ম পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতের সেবা কার্যক্রম সম্পাদন করতে যে পরিমাণ অর্থ ভর্তূকি দেয়া হয় তার পরিমান অনেক অনেক বেশি। নগরবাসীর ভর্তূকীর এই অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে আলোকিত মানুষ উপহার দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে নগরবাসী কাউকেই ক্ষমা করবে না। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহম্মদ সিটি কর্পোরেশন কলেজের শিক্ষক ফয়েজের কিডনি সংযোজনের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১লক্ষ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষনা দেন।

এছাড়াও তিনি সিটি কর্পোরেশনের কল্যাণ তহবিলের মাধ্যমে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এ্ই শিক্ষকের চিকিৎসার জন্য শিক্ষকদের একদিনের বেতন সমপরিমান টাকা অনুদান হিসেবে প্রদানের ঘোষনাকেও মেয়র সাধুবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দন জানান এবং শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট উপহার প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *