Connect with us

আন্তর্জাতিক

চরমপন্থার ভূমিতে পরিণত কাশ্মির

Published

on

kবিডিপি ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের একটি গ্রাম। চলছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার কমান্ডার আবু কাশিমের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। ৩০ হাজার মানুষ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে। ঠিক বিপরীত চিত্রের দেখা মিললো গত ৭ জানুয়ারি, যখন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী মুফতি সাঈদ মোহাম্মদের জানাযায় নামমাত্র লোক উপস্থিত হয়।
এ চিত্র যেন টনক নড়িয়ে দিয়েছে সকলের। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ কেন সম্প্রতি প্যামপোরে সরকারি বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তিন পাকিস্তানি জঙ্গির মৃতদেহ গুম করল। প্রকৃতপক্ষে ঐ অঞ্চলের জনগণই বিক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মৃতদেহ হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছেন।
এসব ঘটনায় বোঝা যায়, কাশ্মিরের তরুণরা জঙ্গি গ্রুপে যোগদানে আগ্রহী হচ্ছে। কাশ্মিরে অনেক আগে থেকেই তরুণদের ভেতর জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার প্রবণতা ছিল। সরকারি হিসেবে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ৬০ জন এসব দলে যোগ দেন, পরের বছর সংখ্যাটি বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। অথচ ২০১৩ সালেই এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২৮ জন।
স্থানীয় জঙ্গিগ্রুপ হিজবুল মুজাহিদিন কাশ্মিরে ফিরে আসার পর এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আগে এ অঞ্চলে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জয়েস-ই-মোহাম্মদের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু খুবই অবাক হওয়ার মতো বিষয় এবং গুরুত্বপূর্ণও বটে, এসব জঙ্গি নেতাদের মৃত্যুতে এবং তাদের দাফন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। যা সত্যিই চোখে পড়ার মতো একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেন বা কীভাবে তরুণদের মধ্যে এই প্রাণঘাতী সংগঠনগুলোতে যোগদান বাড়ছে? প্রথমত মনে করা হচ্ছে, প্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির তেমন কোন পরিবর্তন না হওয়ায়, স্থানীয় যুব সমাজ সহিংসতার দিকে ঝুঁকছে। আবার অনেকে মনে করেন, কাশ্মিরে যেসব সংগঠন গড়ে উঠছে তারা ‘অহিংস’।
এখনকার বিদ্রোহীরা ৯০’র দশকের মত নয়। যদিও ৯০’র দশকে বিদ্রোহীরা যখন শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করত, তখনও তাদের প্রতি ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। তবে কাশ্মিরের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক বিসংবাদ, তাদের রাজনৈতিক অস্বীকৃতি ইত্যাদি বিষয় এ অঞ্চলকে চরমপন্থা বৃদ্ধির উর্বর ভূমিতে পরিণত করছে। সূত্র: বিবিসি

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *