Connect with us

বিচিত্র সংবাদ

চাঁদে বাজে রহস্যময় সঙ্গীত!

Published

on

2016_02_22_13_38_00_0n0vQMP9J3W760mBfq0GMwtYa3jTaD_original

বিচিত্র ডেস্ক:

‘তুমিও কি বাশির আওয়াজটা শুনতে পেয়েছো?
‘শব্দটা অনেকটা, মহাশূন্য জাতীয় সঙ্গীত’
‘এটা কী, ভেবে আমি অবাক হচ্ছি’
কথোপকথনটি অ্যাপোলো ১০ এর নভোচারী ইগুইন সেরনান এবং জন ইয়ংয়ের মধ্যকার। তাদের মহাশূন্যযানটি যখন চাঁদ প্রদক্ষিণ করছিল তখনই মূলত ওই শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তারা। আর এই তথ্য গত চার দশক ধরে অতিযত্নে গোপনীয়তার সঙ্গে রেখেছিল মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। ২০০৮ সালে কথোপকথনের লিখিত কপি প্রকাশ করা হলেও, এবারই প্রথম চাঁদে রেকর্ডকৃত শব্দ এবং নভোচারীদের কথাবার্তা প্রকাশ করা হলো।
পৃথিবীর সঙ্গে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর নভোচারীরা চাঁদের চর্তুপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর তেমনি অবস্থায় নভোচারীরা নিশ্চিতভাবেই কোনো সঙ্গীত শুনতে পাবেন এটা আশা করেননি। সেরনানের রেকর্ড করে রাখা কণ্ঠস্বর থেকে জানা যায়, ‘তুমি শুনতে পেয়েছো? ওই বাঁশির শব্দ? ওয়াও…। ওটা নিশ্চিতভাবেই বেশ অদ্ভুত সঙ্গীত।’
সঙ্গীত শুনতে পাওয়ার বিষয়টি এতটাই অদ্ভুত ছিল যে নভোচারী দুইজন তাদের সিনিয়রদের বিষয়টি জানাতে সঙ্কোচ বোধ করছিলেন। তাদের ভয় ছিল যে, তারা এই কথা সিনিয়রদের জানালে হয়তো ভবিষ্যতে তাদের মহাকাশে না-ও পাঠানো হতে পারে। সম্প্রতি নাসার কিছু নথি প্রকাশিত হলে বিষয়টি জানা যায়। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এটা নিশ্চিত হতে পারেননি যে সঙ্গীতটি আসছিল কোথা থেকে।
যদিও নাসার যন্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, দুই নভোচারীর কানে থাকা হেডফোনের গোলযোগের কারণেই ওই শব্দ উৎপাদিত হয়েছিল। কিন্তু নভোচারী আল অরডেন জানালেন ভিন্ন কথা। তার মতে, যৌক্তিকতা অনুযায়ী যদি কোনো শব্দ তরঙ্গ রেকর্ড হয় তাহলে বুঝতে হয় কোনো বস্তুর উপস্থিতি আছে। অপর এক নভোচারী মাইকেল কলিন্স, যিনি একাই চাঁদের বিপরীত পার্শ্বে প্রদক্ষিণ করেছিলেন, তিনিও প্রদক্ষিণের সময় ওই সঙ্গীতের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি বিষয়টি নিয়ে অতটা মাথা ঘামাননি। তিনি তার ‘ক্রায়িং দ্য ফায়ার: অ্যান অ্যাস্ট্রোনাটস জার্নিস’ শীর্ষক বইয়ে লিখেছেন, ‘আমার হেডফোনে অদ্ভুত শব্দ হচ্ছে। অনেকটা ভুতুড়ে উ উ শব্দের মতো।’
কলিন্সের ব্যাখ্যা অনুযায়ী হেডফোনে তিনি শব্দটি পাচ্ছিলেন যখন দুই মহাকাশযানে থাকা রেডিও দুটি চালু ছিল এবং তাদের অবস্থান খুব কাছাকাছি ছিল। অ্যাপোলো ১০ ছাড়াও অ্যাপোলো ১১ চাঁদে অবতারণ করার পরও অবশ্য নভোচারীরা ওই শব্দ শুনতে পেয়েছিল। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আজও ওই সঙ্গীতের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *