জাতীয়
চীনের প্রেসিডেন্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায়
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা ৩৬ মিনিটে কম্বোডিয়া থেকে তাকে বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ১২টা ০৩ মিনিটে বিমান থেকে নেমে এলে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২১ বার তোপধ্বনি, গার্ড অব অনার, লাল গালিচা সংবর্ধনা ও পুষ্পার্ঘ্য প্রদানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হবে চীনা প্রেসিডেন্টকে।
এরপর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ও তিন বাহিনীর প্রধানকে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তারপর বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর খিলক্ষেতের লা মেরিডিয়ান রেস্টুরেন্টে যান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এর আগে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ জেট চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অভ্যর্থনা জানায়।
৩০ বছর পর ২২০ জন প্রতিনিধি নিয়ে ২২ ঘণ্টার এক ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে আসলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। শনিবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট ভারতের গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
তার আগে শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দেখা করবেন শি জিনপিং।
আর জিনপিংয়ের এই সফরে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মনে করছেন দুই দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ অন্যান্য খাতে ‘নিবিড় সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ইয়ে হেলিন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণে চীনের প্রস্তাব দেয়ার আগে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে চীন-বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ। চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।