Connect with us

লাইফস্টাইল

চুলের আগা ফাটা ও প্রতিকার

Published

on

চুলের আগা ফাটা ও প্রতিকারযে কোনো ধরনের চুলের একটি সাধারণ সমস্যা হল আগা ফাটা। চুল রং করা হোক অথবা কেমিকল ব্যবহার করাই হোক, চুলের আগা ফাটার সমস্যা হতেই পারে। তাছাড়া এই সমস্যায় কোনো বয়সের সীমাও নেই।

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে আগা ফাটার সমস্যার কারণ উল্লেখ করা হয়। বাহ্যিক কোনো কারণে যখন চুলে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যেমন অতিরিক্ত গরম স্টাইলিং টুল ব্যবহার বা কেমিকল ব্যবহার করার ফলে চুলের কউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল আগা ফাটার মূল কারণ।

আগা ফাটা চুল থেকে রেহাই পাওয়ার অন্যতম উপায় চুলের আগা ছেঁটে ফেলা। এছাড়া কিছু সাধারণ উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে ওই উপায়গুলোই তুলে ধরা হল।

– চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে একটি মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকাভাবে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। এতে চুলের জট সরে যাবে এবং চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।

– চুলের স্টাইলিং প্রোডাক্ট যেমন ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার কেনার সময় ভালো মানের এবং ভালো প্রতিষ্ঠান দেখে কেনা উচিত। কারণ এতে চুল পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কম দামি পণ্যগুলোতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ততটা উন্নত না হওয়ায় তা চুলের ক্ষতি করে।

– চুল বাঁধার ক্ষেত্রে বেশি জোরে টানা উচিত নয়। এতে চুল দুর্বল হয়ে যায়। আর চুল বাঁধার জন্য কাপড়ে প্যাঁচানো ইলাস্টিক ব্যান্ড বেছে নেওয়া উচিত। কারণ স্টিল বা মেটাল ব্যান্ড চুলের ক্ষতি করে। তাছাড়া চুল সেট রাখতে চুল বেশি টেনে না আঁচড়ে ভালো মানের হেয়ার জেল এবং স্প্রে ব্যবহার করা উচিত।

– ফলিক অ্যাসিড এবং বায়োটিন, এই দুই পুষ্টি উপাদান চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন গঠনে সহায়তা করে। চুলের স্বাস্থ্য এবং ঘনত্ব বাড়াতে এই দুই বি ভিটামিন অত্যন্ত জরুরি। ফলিক অ্যাসিড লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে যা চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। সবুজসবজি, কমলা, সয়াবিন ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। বায়োটিন চুল ও নখ মজবুত করতে সাহায্য করে। লাল-চাল, ডাল, মটরশুঁটি, বাদাম ইত্যাদি খাবারে বায়োটিন রয়েছে।

– যারা গরম হেয়ার স্টাইলিং টুল ব্যবহার করেন তাদের চুলের যত্নে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। যা চুল ধোয়ার পর ভালোভাবে মুছে এরপর লাগাতে হয়।

– চুল উপর থেকে নিচের অংশে ব্লো ড্রাই করতে হবে। তাছাড়া ড্রায়ারের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। চুল ভাগ করে নিয়ে গোলাকার ব্রাশ ব্যবহার করে চুলে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করতে হবে। আর এতে চুল দ্রুত শুকাবে এবং চুলে গরম তাপের পরিমাণ কমবে।

– চুলে যত বেশি রং, কেমিকল ব্যবহৃত হবে, চুল ততটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এর ফলে আগা ফাটার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাছাড়া কেমিকলযুক্ত শ্যাম্পু কম ব্যবহার করা উচিত। কেমিকলজাতীয় ট্রিটমেন্ট যতটা এড়ানো হবে চুলের স্বাস্থ্য ততই ভালো থাকবে।

– এরই মধ্যে যে চুলগুলোর আগা ফেটে গেছে সেগুলো নিয়মিত ছেটে নেওয়া উচিত। দীর্ঘদিন ‘ট্রিম’ না করালে চুল ফাটার পরিমাণ বেড়ে যয়। হেয়ার এক্সপার্টরা প্রতি আট সপ্তাহে একবার চুল ট্রিম করানোর পরামর্শ দেন।

সুন্দর চুলের জন্য যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আর কেমিকলজাতীয় প্রসাধনী চুল ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই এগুলো এড়িয়ে চলার কথা মনে রাখতে হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *