Connect with us

জাতীয়

জনগণের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমাতে হবে : আইজিপি

Published

on

222458igp_new

মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, জনগণের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমাতে হবে। মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় আইজিপি সভাপতিত্ব করেন।
আইজিপি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে তল্লাশির নামে যানবাহন থামানো যাবে না।
রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ এবং এ সময় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
তিনি রমজান ও ঈদ উদ্যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করে আইজিপি বলেন, রমজানে ফরমালিন ও রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত ফল বিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, মাদক দ্রব্য বিরোধী অভিযানও জোরদার করতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (এডমিন এন্ড অপস) মোঃ মোখলেসুর রহমান, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আবুল কাশেম, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, নৌপুলিশসহ অন্যান্য ইউনিটের ডিআইজিবৃন্দ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারগণ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, র‌্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।
সভায় পবিত্র রমজানে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, ট্রেন, বাস ও নৌপথে নিরাপদ চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা এবং জাল টাকার অপব্যবহার রোধ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে পকেটমার ও অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় শহরে বিপণী বিতান ও শপিংমল যথাসম্ভব সিসিটিভির আওতায় এনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জনসাধারণের কেনা-কাটার সুবিধার্থে এবং তারাবির নামাজের সময় অপরাধমূলক তৎপরতা প্রতিরোধে গভীর রাত পর্যন্ত নৈশ টহলের ব্যবস্থা করা হবে।
ব্যাংক ও অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানে বড় অংকের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশ জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধ এবং যানজট নিরসনে হাইওয়ে এবং জেলা পুলিশ বিশেষ তৎপর থেকে দায়িত্ব পালন করবে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম নিবিড় মনিটরিং এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঈদ উদ্যাপনের জন্য ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে টিকেট কালোবাজারী প্রতিরোধে পুলিশ, মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ঈদ জামাতস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রমজান, ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং প্রতিটি জেলা ও ইউনিটে কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *