Connect with us

লাইফস্টাইল

জলঢাকার অসহায় খগেন্দ্র নাথের জীবানাভূতি

Published

on

1212-1
জলঢাকা প্রতিনিধিঃ লাঠিতে ভর করে চলে সত্তর্রোদ্ধে বৃদ্ধ খগেন্দ্র নাথ। দিন আনে দিন খায় পরিবারের সন্তান তিনি। বয়সের ভারে শরীরে কাজ করার সামর্থ্য নেই। তার বাড়ী নীলফামারী জলঢাকার বালাগ্রাম ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডে। গত কাল তার সাথে দেখা হয় উপজেলার কলেজ পাড়ায়। সাত জনের সংসারে পুত্র মনোরঞ্জন (৪০) একমাত্র আয়ের উৎস। পরের বাড়ীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে সংসার চালায়। বৃহৎ সংসারে সকলের ভার বহন করা দূঃসাধ্য ও কষ্টের। তাই পিতা নিরুপায় হয়ে কাজের সন্ধানে জলঢাকা উপজেলার সর্বত্র খুজে বেরায়। যদি নিজের থাকা খাওয়া ও চলার মত কাজ পায় তাহলে নির্দ্বিধায় কাজ করবে বলে জানান বৃদ্ধ খগেন্দ্র। তিনি আরো জানান বৃদ্ধ বয়সে পিতা মাতা সন্তানের আশ্রয় হয়। কিন্তু দূঃভাগ্য অভাব অনটনের সংসারে কখনো কখনো পিতামাতা ও অভাবের তারনায় উপেক্ষিত হয় আমাদের সমাজে। এর অন্যতম কারণ বিশ্লেষণ করে জানা যায় দারিদ্রতা। বৃদ্ধ খগেন্দ্র নাথ জানায়, দীর্ঘ একযুগ পেরিয়ে গেছে অনেক কওয়া-বলার পরেও ভাতা দেয়নি মেম্বার চেয়ারম্যান। দেবে দেবে বলে দেয় আর না। তাই বাধ্য হয়ে কাজ না পাওয়ায় সমাজ সেবা অফিসে যাচ্ছি। শুনেছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুব ভাল মানুষ। তিনি এই বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা দেখে সদয় সহাভূতি পূর্বক সমাজ সেবা কর্মকর্তা মনিমুন আক্তারকে বলে দিলে আমার ভাতা হবে। কিন্তু দূঃভার্গ্য রাষ্টীয় কাজে নির্বাহী কর্মকর্র্তা নাকী বিদেশে গেছে। আমার পোড়াকপাল তার ফিরে আসা পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমার কোন সুপারিশ করার লোক নাই। আমাদের সমাজে প্রকৃত সুবিধা সুভোগি মানুষরাই অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু কেন এমনটি হয় জনমনে প্রশ্ন একটাই ? দূর্নীতির মূখোশ পরে তারা সমাজের কর্তা বাবু সেজে দরিদ্রের পেটে লাথি মেরে ভুড়ি ভুড়ি রাজার হস্তে কাঙ্গালের ধন চুরি করে যা সচেতন মানুষের কাম্য নয়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *