দেশজুড়ে
জেএমবি আনোয়ারের লাশ নেয়নি পরিবার, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সংগঠক এনায়েত করিম মিলন বলেন, বেওয়ারিশ হিসেবেই পুলিশ তাদের কাছে আনোয়ারের লাশ হস্তান্তর করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে তার লাশ বুঝে নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত রোববার রাতে রাজশাহীর বাগমারায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক নিহত হন। মঙ্গলবার দুপুরে ছবি দেখে ওই যুবককে আনোয়ার বলে শনাক্ত করেন তার মা সুরুতহান বেওয়া ও তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে আসমা আক্তার। নিহত আনোয়ার হোসেন ওরফে নাইম নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের উত্তর পারইল গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে।
বাগমারা থানার পুলিশ পরির্দশক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আনোয়ারের মা সুরুতহান বেওয়া ছেলের লাশ নিতে রাজি না হওয়ায় বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই সংগঠন রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ বুঝে নিয়ে দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
পরির্দশক আবুল কালাম আরো বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ বুধবার দুপুরে আনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে লাশ গ্রহণের জন্য তার মা সুরুতজান বেওয়াকে অনুরোধ করা হয়। এমনকি লাশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু ছেলে জেএমবির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় তিনি চরম ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তিনি লাশ গ্রহণ করতে রাজি হননি।