ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে দুই হত্যার দায় প্রত্যাহার করলো আইএস
শুক্রবার আইএসের মুখপত্র ‘আমাক’-এ বাংলাদেশে হামলার যে তালিকা দেয়া হয়েছে, সেখানে পাঁচটি হামলার দায় তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আইএসের দায় প্রত্যাহার করে নেয়া পাঁচটি খুনের ঘটনা হল ঝিনাইদহের হোমিও চিকিৎসক ছমির উদ্দিন হত্যাকান্ড, একই জেলার শিয়া মতাবলম্বী আব্দুর রাজ্জাক হত্যাকান্ড, বান্দরবানের বৌদ্ধ ভিক্ষু মং শৈ উ হত্যাকান্ড, গাইবান্ধার ব্যবসায়ী তরুণ দত্ত হত্যাকান্ড এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকান্ড।
ঝিনাইদহে এ সব ধারাবাহিক হত্যার পর ঝিনাইদহ পুলিশ আইএস এর দায় স্বীকারের বিষয়টিকে ভুয়া বলে জানিয়ে আসছিলো। আইএস এর দায় প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে পুলিশের কথাই সত্য হলো।
অন্যদিকে শনিবার ঝিনাইদহের একটি সেমিনারে আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব-উল-হানিফ এমপি জানান, সেবায়েত ও হিন্দু পুরোহিত হত্যার পর এনামুল নামে এক শিবির কর্মী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সেমিনারে তিনি প্রশ্ন রাখেন আইএস কি তাহলে শিবির হয়ে গেল ?
এখানে উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালুহাটী গ্রামের বেলেখাল বাজারে খ্রীষ্টান হোমিও চিকিৎসক সমির বিশ্বাস ওরফে সমির খাজা ও ১৪ মার্চ কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা এলাকার শিয়া মতবাদের হোমিও চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গত ৭ জুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করোতিপাড়া গ্রামের আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী খুন হন।
সর্বশেষ গত ১ জুলাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামে এবার স্থানীয় রাধামদন মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে (৬২) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সব হত্যার পর আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়।