Connect with us

জাতীয়

টঙ্গীর ট্যাম্পাকোর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত

Published

on

tongi2অনলাইন ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ট্যাম্পাকো কারখানার পাশে স্থাপিত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোল রুমে আয়োজিত এক প্রেস-ব্রিফিংয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম এ উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসক জানান, এক মাস ধরে চলা উদ্ধার অভিযানে ৩৯টি লাশ, কিছু হাড় ও শরীরের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ৩৬ জনকে আহতাবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অনেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ৮টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় যে ৯ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে তার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা ৮টি লাশ তাদের। ট্যাম্পাকো থেকে যে হাড় ও দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে আমরা ধারণা করছি উদ্ধার করা দেহাবশেষগুলো ওই নিখোঁজ ব্যক্তির হতে পারে।
তিনি বলেন, কারখানার ধ্বংসাবশেষে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা তন্নতন্ন করে খোঁজ করেছেন। সেনাবাহিনী ডগ স্কোয়াড দিয়েও খুঁজে দেখা হয়েছে। সেখানে কোনো লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আর কোনো লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কারখানার মালিক পক্ষ তাদের কাছে আবেদন করেছে যে এখন থেকে তাদের কারখানায় তারা নিজেরাই উদ্ধার কাজ পরিচালনা করবে। তিনি উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া সকল বাহিনী ও সংস্থার কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানান।
প্রেস ব্রিফিংকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের লে. কর্নেল মোহাম্মদ শফিউল আজম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান লিটন, শিল্প পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর বিসিক নগরীতে বিএনপির সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কারখানার মালিককে প্রধান আসামি করে টঙ্গী মডেল থানায় এ পর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী মডেল থানার এসআই অজয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে কারখানা মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি করেন। দুটি মামলা হলেও ঘটনার এক মাসেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *