Connect with us

জাতীয়

তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, সতর্কে বিজিবি

Published

on

বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্ত থেকে দেড়শ গজের কাছে মিয়ানমার তমব্রু সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও ভারি অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিজিবির সদর দফতর পিলখানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অপারেশন্স অ্যান্ড ট্রেনিং) মুজিবুর রহমান।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরওয়ার কামাল জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ট্রাক-পিকআপে করে অতিরিক্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনী জড়ো করেছে মিয়ানমার। সীমান্তের কোনাপাড়া নোম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তবে আশঙ্কার কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি এবং প্রশাসন। শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং সভায় আশ্বস্তও করেছে মিয়ানমার।

রোহিঙ্গা দলনেতা দিল মোহাম্মদ ও আব্দুল মোতালেব বলেন, মিয়ানমারের পুলিশ-সেনাবাহিনী নোম্যান্স ল্যান্ড চলে যেতে মাইকিং করছে ক’দিন ধরে। রাতের বেলায় বোতল এবং ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছে ক্যাম্পের ঝুপড়ি ঘরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্যাম্পের ওপারে গাড়িতে করে মিয়ানমারের পুলিশ-সীমান্তরক্ষী বাহিনী জড়ো হয়েছে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে।

বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অপারেশন্স অ্যান্ড ট্রেনিং) মুজিবুর রহমান বলেন, তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইন এলাকায় কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। এলাকাটি মিয়ানমার অংশে। কিছুদিন ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনী তমব্রু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া, সেগুলো আরো মজবুত করা, উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন সার্ভেলেন্স ইকুয়েপমেন্ট স্থাপন করার কাজ করছে। এর মধ্যে শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে সেখানকার রোহিঙ্গাদের অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য তারা বারবার বলছে, যা গত একমাস ধরে চলছে।

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ তমব্রু বর্ডার পোস্টের ৩৪ ও ৩৫ পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার অংশের প্রায় ১৫০ গজ অভ্যন্তরে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। বেশ কিছু মিলিটারি প্যাটার্নের পিকআপের ট্রাক-লরির মাধ্যমে তারা সেখানে ভারী অস্ত্র স্থাপন করেছে। আমরা সার্ভেলেন্স ও ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে এসব তথ্য জানতে পেরেছি। এরপর থেকে আমরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছি, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের ইতোমধ্যে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। প্রতিবাদলিপিও পাঠিয়েছি। কিন্তু কোন সাড়া মিলেনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *