আন্তর্জাতিক
সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ, বিদ্রোহীদের রক্তে লাল তুরস্কের মাটি
তুরস্কের মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যুব এরদোগানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শুক্রবার রাতে হঠাত্ করেই সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়। জানা গিয়েছে, উত্তর গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য যে সেনা অফিসাররা পালিয়েছেন, তাঁরাও এই অভ্যত্থানের শরিক।
গ্রিসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে শনিবার জানিয়েছে, সাত সেনা ছাড়াও তুরস্কের একজন সাধারণ নাগরিক ব্ল্যাকহক মিলিটারি হেলিকপ্টারে চেপে উত্তর গ্রিসের আলেক্সজান্দ্রৌপলিতে নেমেছেন। তুরস্কে ফিরতে না চেয়ে, তাঁরা গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আর্জি জানান। যদিও অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের কারণে এই ৮ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিদ্রোহীদের দ্রুত হস্তান্তরের জন্য গ্রিস সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
গার্ডিয়ানের খবর অনুযায়ী, বিদ্রোহী সেনা আধিকারিকরা তাঁদের পোশাক থেকে সব ব্যাজ খুলে ফেলায়, কারওরই পদমর্যাদা বোঝা যায়নি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, এই প্রথম তুরস্কের কোন সেনা-কপ্টার গ্রিসের মাটিতে নামল।
এদিকে, শুক্রবার রাতের এই সেনা অভ্যুত্থানের জেরে এখনও পর্যন্ত ১৯৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।
তুরস্ক পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্রোহী সেনারা প্রেসিডেন্টের ভবন দখল করে, সেনা অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন। তাদের সেই ছক ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে আটক করা হয়েছে ১,৫৬৩ জন বিদ্রোহী সেনাকে।
শনিবার সকাল থেকে সাধারণ নাগরিকরাও সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে, সরকারের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসেন। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বিদ্রোহী সেনারা একে একে আত্মসমর্পণ করছেন।