আন্তর্জাতিক
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার
এর আগে একই অভিযোগে তাকে অভিসংশিত করে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে পার্ক গিউনের আগে দেশটিতে আরো দুই সাবেক প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ৬৫ বছর বয়সী পার্ক। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, নিজ ক্ষমতার অধীনে তিনি তার বন্ধুকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।
পার্ক গিউন হাইয়ের বন্ধু চোই সুন সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। স্যামস্যাংসহ অন্যান্য বড় কোম্পানি থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সত্যি প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে গিউনের।
গত ১০ মার্চ পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করা নিয়ে পার্লামেন্টের নেওয়া সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে সাংবিধানিক আদালত। আর এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন হাই। এর আগে পার্লামেন্টে তার অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৩৪টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৫৬টি।
গিউন দুর্নীতির অভিযোগে সংসদ থেকে অভিশংসিত হওয়ার পর উচ্চ আদালতও তার অভিশংসনের পক্ষে গত ১০ মার্চ রায় দেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট থাকা না থাকা নিয়ে সংসদে ভোট হয়। রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসার পরপরই পার্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন দক্ষিণ কোরিয়ার হাজারো জনতা। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি। বিবিসি।