জাতীয়
দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই : সৈয়দ আশরাফ
স্টাফ রিপোর্টার: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষি প্রযুক্তির বিকাশ তথা কৃষির আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আজ রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ৫ম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০১৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া এবং লিমাবা ট্রেড ফেয়ার এন্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এম এ কাদের সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং কৃষিবিদ আবদুল মান্নান এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এম এ মতিন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। তাই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি তথা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এবং আত্মনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করতে হবে।
তিনি কৃষি প্রযুক্তি মেলার আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, এ মেলায় অভিনব কৃষি প্রযুক্তিসহ নবায়নযোগ্য শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট গবেষক, প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি ব্যবহারকারী ও বাজারজাতকরণে নিয়োজিত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তাদের মধ্যে আন্তঃসমন্বয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ মেলা ব্যবসার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, যা বাংলাদেশের কৃষি ও সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করতে বহুলাংশে সহায়ক হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বিশ্বায়নের যুগে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কৃষি খাতের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য কৃষির আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন প্রযুক্তি, উন্নত বীজের সরবরাহ এবং তা সঠিকভাবে ব্যবহারের কৌশল কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। এ মেলায় দেশী-বিদেশী কৃষি যন্ত্রপাতি, উন্নত বীজসহ বিদেশী আধুনিক কৃষি প্রদর্শিত হচ্ছে, যা দেশে প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি বিকাশে সহায়ক হবে।
এ মেলায় দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, চীন, জার্মানী, কোরিয়া, তুরস্ক, স্পেন, জাপান, তাইওয়ান, ইতালী, কানাডাসহ ১৪টি দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় ১৫৩টি স্টল রয়েছে।