জাতীয়
নববর্ষে সহিংসতামুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
বিদায়ী বছরের শেষ ভাগের পুরোটা জুড়েই বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ আর হরতালে রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। সন্ত্রাস সহিংসতার আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করেছে শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছেন অনেকে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সম্পদের।
গণভবনে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন। আশা প্রকাশ করেন, নতুন বছরে রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে, ৫ জানুয়ারির পর থেকে ৯০-৯২ দিন পর্যন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা, কোরআন শরীফ পুড়িয়ে মারাসহ নানা ঘটনা ঘটেছে, এসব ক্ষতি কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয়। আমি আশা করবো- এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতির নামে দেশজুড়ে যে হানাহানি শুরু করেছিল বিএনপি জামায়াত তা রুখে দিয়েছে সাধারণ জনগণ
তিনি বলেন, ‘পুড়িয়ে মারার যে সংস্কৃতি বিএনপি শুরু করেছে, সামান্য মানবিকবোধ সম্পন্ন মানুষ এমনটি করতে পারে না। অতীতে আমরা কখনোই আন্দোলনের নামে এভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে দেখিনি। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে- এটাই আশার কথা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব জাতি ধর্মের মানুষকে নিয়ে বর্ষবরণের যে উৎসব, তা সার্বজনীন রূপ পেয়েছে বাংলাদেশে ।