Connect with us

দিনাজপুর

নবাবগঞ্জ থেকে ভাদুরিয়া রাস্তা খানাখন্দে ভরপুর, জনসাধারণের ভোগান্তি

Published

on

Exif_JPEG_420

খানাখন্দে ভরা নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে দাউদপুর হয়ে ভাদুরিয়া বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা।  ছবি: এম রুহুল আমিন প্রধান

এম রুহুল আমিন প্রধান, নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে দাউদপুর হয়ে ভাদুরিয়া বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তার খানাখন্দে ভরপুর। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা।
এলাকাবাসীরা জানান, দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে এই রাস্তাটি গত বছর সংস্কার ও মেরামত করা হয়। বছর যেতে না যেতেই বিভিন্ন স্থানে পাথর পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর ওই গর্তে পড়ছে বাস, ট্রাক, অটো, টেম্পুসহ উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মডেল বহুমূখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সহ মহিলা ডিগ্রী কলেজ রোডে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকছে পানি। পানির ওপর দিয়ে ভাঙ্গা সড়কে প্রতিদিন চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে দাউদপুর থেকে ভাদুরিয়া রোডে লাউগাড়ি নামক স্থানে ভাদুরিয়া বাজারে সড়কে একই চিত্র। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এ রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে রোগী পরিবহন করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা মো. মাহাবুব আলম জানান, এ রাস্তাটির বাপ-মা নেই। কেউ দেখে না। এখনই সংস্কার করা না হলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তিনি কর্তৃপক্ষের নিকট রাস্তাটি সংস্কার, প্রশস্তকরণ সহ পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মানের দাবি জানান।
নবাবগঞ্জ ক্লাব ও লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ চৌধুরী জানান, উন্নয়নের পূর্বশর্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষ তদন্ত স্বাপেক্ষে সংস্কারের যেন উদ্যোগ নেন।
এদিকে দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (১১৬৭) এর নবাবগঞ্জ শাখার সভাপতি মো. জমশেদ আলী জানান, রাস্তাটি সম্প্রসারণ না হওয়ায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপার সমস্যা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও মডেল বহুমূখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহ মো. জিয়াউর রহমান মানিক জানান, রাস্তাটি সংস্কার হওয়া জরুরী।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম মুঠোফোনে জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জলাবদ্ধতা হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কখনও পরিধেয় কাপড় পানিতে ভিজে চলাফেরা করা দিন দিন সমস্যা বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাস্তার যে অবস্থা সেখানে পদাচারী পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। আমি জেলা সমন্বয় সভায় ঝুঁকিপূর্ণ করতোয়া নদীর ব্রিজ ও নবাবগঞ্জ থেকে দাউদপুর-ভাদুরিয়া সড়কের সমস্যা উপস্থাপন করেছি। বিষয়টি রেজুলেশন ভুক্ত হয়েছে। এ সমস্যা নিয়ে রাস্তার বেহাল দশার অবস্থা জেলা প্রশাসককেও জানিয়েছি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *