দেশজুড়ে
নবীনগরে জলমহল ইজারা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
নবীনগর প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বুড়িনদী জলমহলের ইজারা দেওয়া নিয়ে মৎস্যজীবী সমিতিগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ইজারা দেওয়া হয় নি বলে কতিপয় মৎস্যজীবির সংবাদ সম্মেলনটি মিথ্যা ভিত্তিহীন দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন কনিকাড়া দাসপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ। তারা নিবন্ধনকৃত প্রকৃত মৎস্যজীবী হিসেবে সরকারি অনুসন্ধানে বিবেচিত হয়ে ইজারা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
গত বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে ইজারাপ্রাপ্তি সকল কাগজপত্র উপস্থাপন করে বলেন, তিতাস নদী মৌজার “বুড়ি নদীর মুখ হতে বাউস খাল পর্যন্ত” জলমহালটি ইজারা নিতে প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতি দাবি করে, কনিকাড়া দাসপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মিতালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও একতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আবেদন করেন।
জলমহাল ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন আবেদনকৃত সমিতিগুলোর মধ্যে কোনটি জলমহালের নিকটবর্তী এবং প্রকৃত মৎস্যজীবী কিনা এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন চান। যাচাই বাছাই করে গত ১৭ মে নবীনগর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী কনিকাড়া দাসপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, জলমহালটির নিকটবর্তী এবং সমিতির সকল সদস্য প্রকৃত মৎসজীবী উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ১৮ মে এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটির সভায় জলমহাল নীতিমালা মোতাবেক কনিকাড়া দাসপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে ইজারা প্রদান করা হয়।
এ জলমহালের ইজারার উপর পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে এবং প্রকৃত মৎস্যজীবীদের তিন বছরের জন্য বুড়ি নদী ইজারা প্রদান করেন।