দেশজুড়ে
নীলফামারীতে নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে গণধর্ষন
এলাকাবাসী জানায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের টোটুয়াপাড়া গ্রামের ভটভটি চালক মহির আলীর মেয়েটি কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর ইউছুফিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী। সে কৈমারী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের নানা মনছুর আলীর বাড়ি থেকেই লিখাপড়া করতো।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটির বরাত দিয়ে তার পিতা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায় বুধবার (১৬ মার্চ) বিকালে মাদ্রাসা ছুটির পর নানার বাড়ি ফেরার পথে তার মেয়ের সাথে দেখা হয় পূর্ব পরিচিত মারুকুল ইসলাম(৩০) নামের এক পিকআপ চালকের। বাড়িতে পৌচ্ছে দেয়ার নাম করে পিকআপে তুলে নেয় মেয়েটিকে। পিকআপে থাকা আরো দুই যুবক মিলে তারা তিনজন মেয়েটিকে অবিলের বাজারের অদুরে এক ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান এক ফেরিওয়ালা বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রামের মানুষকে জানালে তারা আমার বাড়িতে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন ছুটে এসে ভুট্টা ক্ষেত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে । এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে সন্ধ্যায় ভর্তি করা হয়।
জলঢাকার কৈমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কহিনুরজ্জামান লিটন জানায়, ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনার পর মেয়েটির বাবা মহির উদ্দিনের সাথে মোবাইলে কথা বলেছি। কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের পক্ষে মামলা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।