Connect with us

আন্তর্জাতিক

নেপালে প্রেতাত্মা তাড়াতে নরবলি!

Published

on

Casting-out-demonsin-killingসন্তানের দেহ থেকে ‘প্রেতাত্মা তাড়াতে’ বলি দেয়া হলো এক শিশুকে। নেপালের সীমান্তবর্তী নওয়ালপরাসি জেলার কুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দীর্ঘ দিন ধরে অসুখে ভুগতে থাকা ১৮ বছরের ছেলের উপর ভর করেছে দুষ্ট আত্মা, প্রতিকার হিসেবে বলি দিতে হবে কোনো কিশোরকে- এই অন্ধ-বিশ্বাসে নিজের ছেলের বন্ধুকে বলি দেয় কোদাই হরিজন। ১০ বছরের জীবন কোহারকে গলাকেটে খুন করে নেপাল-ভারত সীমান্তের কাছে কুড়িয়া গ্রামের এই বাসিন্দা।

ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তের সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে আরো আটজনকে, তারা ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। পুলিশের জেরার জবাবে কোদাই স্বীকার করেছে, প্রতিবেশী ক্ষেতমজুর শিবশরণ কোহার ও তার স্ত্রী কাজে বের হলে বন্ধুর বাড়ি খেলতে আসে তাদের ছেলে জীবন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, অভিযুক্ত তাকে বিস্কুট খাইয়ে এবং ৫০ টাকার টোপ দিয়ে গ্রাম থেকে কিছু দূরে পাটেরা নদীর তীরে জনহীন শিওয়ান মন্দিরে নিয়ে যায়। প্রথমে মন্দিরে পুজো দেয়া হয়। তার পর ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয় জীবনকে।

অভিযুক্ত জানিয়েছে, এই কাজে তাকে সাহায্য করে গ্রামের আরো আট বাসিন্দা। এই জন্য তাদের মোট ৫০ হাজার টাকা দেয় কোদাই। সে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের জেরে আপাতত অনুশোচনায় ভুগছে। তবে তার এক কথা, সন্তানকে সুস্থ করতেই এই কাজ করেছে সে। পুলিশ সুপারিন্টেনড্যান্ট নলপ্রসাদ উপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার থেকেই নিখোঁজ ছিল জীবন কোহার। বৃহস্পতিবার পাটেরা নদীর কাছে একটি ঝোপের ভিতর তার মৃতদেহ আবিষ্কার করা হয়।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/পি

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *