জাতীয়
পঞ্চগড়ের ৩৬ ছিটমহলে জনগণনা শুরু
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে পঞ্চগড় জেলার অভ্যন্তরে থাকা ৩৬টি ভারতীয় ছিটমহলে জনগণনা শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অভ্যন্তরে ভারতীয় গারাতি ছিটমহলে জনগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পঞ্চগড়-নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মফিজার রহমান।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা, রাজ্যসভা ও লোকসভায় বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হওয়ায় নতুন করে এ জরিপের কাজ শুরু হলো। এর আগে, ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ২০১১ সালে এসব ছিটমহলে আদমশুমারি পরিচালনা করা হয়। ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পঞ্চগড়-নীলফামারী জেলা সভাপতি মফিজার রহমান জানান, এ জরিপে ছিটমহলের লোকসংখ্যা, ঘরবাড়ি সংখ্যা, বাসিন্দাদের পেশা, জমির পরিমাণ, ধর্মসহ ছিটমহলের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হবে। এসব তথ্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, জেলায় পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার অভ্যন্তরে গাড়াতি, শিংগীমারী, নাটকটোকা, বেহুলাডাংগা, বালাপাড়া খাসবাড়ি, কোট ভাজনি, দহলা খাগড়াবাড়ি, কাজলদিঘি, পুটিমারী, নাজিরগঞ্জ, দৈখাতা, শালবাড়িসহ ছোটবড় ৩৬টি ছিটমহলে একসঙ্গে এ জরিপ শুরু হয়েছে। প্রত্যেক ছিটমহলে ওয়ার্ড ভিত্তিক ৩ জন করে মোট ৯ জন কর্মী এ জরিপ কাজ পরিচালনা করছেন।
২০১১ সালে সর্বশেষ জাতীয় আদমশুমারির সময় পঞ্চগড়ের ছিটমহলগুলোতে সরকারিভাবে আদমশুমারি পরিচালিত হয়। ওই জরিপ অনুযায়ী পঞ্চগড় জেলার অভ্যন্তরে ৩৬টি ছিটমহলের আয়তন ১১ হাজার ৯৩২ দশমিক ৮০ একর এবং জনসংখ্যা ১৯ হাজার ৪৩ জন।