দেশজুড়ে
পার্বতীপুরে সাঁওতাল পল্লীতে খাবার ও পানির জন্য হাহাকার
পার্বতীপুর প্রতিনিধি, দিনাজপুর:
দিনাজপুরের পার্বতীপুর মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাঁওতাল পল্লীর ৬৮টি পরিবারে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ৪টি সাঁওতাল গ্রামের ৬৮টি পরিবারের টিউবওয়েল খুলে নেয়ায় দেড় শতাধিক মানুষের মধ্যে চলছে পানি নিয়ে তীব্র হাহাকার। ফলে মিলছে না গৃহস্থালি কাজকর্ম করার ও খাবার পানি।
গত সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উত্তর চিড়াকুঠা, দক্ষিণ চিড়াকুঠা, পূর্ব চিড়াকুঠা ও পশ্চিম চিড়াকুঠা গ্রামে তীব্র খাবার পানির সঙ্কট বিরাজ করছে।
কারমাইকেল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী দিপালী টুডু বলেন, হামলাকারীরা ৪টি গ্রামের ৬৮টি সাঁওতাল পরিবারের ৬৮টি টিউবওয়েল খুলে নেয়ায় পানি মিলছে না। ৬৮টি সাঁওতাল পরিবারের ৬৮ টিউবওয়েলের মধ্যে বর্তমানে ৬টি টিউবওয়েল প্রশাসন দিয়েছে।
আর এ কারণে সংসারের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। অধিকাংশ নারী গোসলও করতে পারছে না। আহত দিপালী জানান, হামলায় কমপক্ষে অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত আহতদের মাঝে কোন ঔষধ সরবরাহ করা হয় নি। দ্রুত আহতদের ঔষধ সরবরাহ করার আহ্বান জানান।
উত্তর চিড়াকুঠা গ্রামের বিমলা টুডু বলেন, রাতে হারিকেন, কুপির আলো না মেলায় অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া ৪টি গ্রামের ৬৮টি সাঁওতাল পরিবারের মধ্যে পূর্ব চিড়াকুঠার মন্ডলী হেমব্রম একটি কুপি, দক্ষিণ চিড়াকুঠার পরেশ হেমব্রমের একটি কুপি, উত্তর চিড়াকুঠা, ও পশ্চিম চিড়াকুঠায় দুইটি কুপি আছে। তাছাড়া পুরো গ্রামের কোথাও কুপি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিমলা আরো বলেন, হামলাকারীরা ওই সময় ঘরের আসবাবপত্রের সাথে হারিকেন ও কুপিও রেখে যান নি।
ফুলমতি হেমব্রম বলেন, এক কাপড়ে এখনও পরে আছি। না পারছি গোসল করতে না পারছি পরনের কাপড় বদলাতে। এভাবে কি চলে জীবন দা!