ঠাকুরগাঁও
পীরগঞ্জে ৬ পুলিশকে গণ ধোলাই : অতঃপর বদলি
জানা যায়, পীরগঞ্জ থানার এস আই নুর আলম এবং এস আই মামুন সহ পুলিশের ৬ সদস্য বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল থানার সীমান্তবর্তী গোগর এলাকায় রেজিষ্ট্রেশন বিহিন মোটর সাইকেল আটক করে এবং কয়েকজন দালালের মাধ্যমে টাকার নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তাদের গন ধোলই দিয়ে গোগর স্কুল মাঠে আটক করে রাখে। তবে গণ ধোলাইয়ের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। পরে পীরগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার সফিকুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে। জনতা এতে বিরোধিতা করে টাকা ফেরত সহ প্রকাশ্যে পুলিশকে ক্ষমা প্রার্থনার দাবী জানায়। সেকেন্ড অফিসার এতে সম্মত না হলে জনতা তাদের ছেড়ে না বিচার দাবী করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সেকেন্ড অফিসার ব্যর্থ হয়ে থানায় ফোন করলে পীরগঞ্জ থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন সহ পাশ্ববর্তী রানীশংকৈল থানার ওসি সুকুমার মোহন্ত রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়। পরে সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও আবুল কালাম আজাদ সহ স্থানীয় গন্যমান্য লোকের উপস্থিতিতে স্কুল মাঠে এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে পুলিশ ক্ষমা প্রার্থনা করলে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন জানান, পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ৬ সদস্যের একটি টিম উপজেলার বেলদহিতে একটি আপারেশনের জন্য যাওয়ার পথে রানীশংকৈলের গোগার এলাকায় রেজিষ্ট্রেশন বিহিন মোটর সাইকেল আটক করে। এতে জনতার সাথে তাদের বিরোধ হয়। গন ধোলাই দেওয়া হয়নি। পুলিশ সদস্যদের আটক রাখা হয় বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন,তাদেরকে বর্তমানে বদলি করা হয়েছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর