বিবিধ
প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার সময়ে যে ভুলগুলো আপনি করছেন!
নিয়মিত ব্রাশ করার পরেও যখন দাঁতের ব্যথায় ভুগতে হয়, তখন প্রশ্ন করতেই হয়, ব্রাশ করতে কোনো ভুল হচ্ছে না তো? এমন কিছু ভুল আছে যা ব্রাশ করার সময়ে আমরা অনেকেই করে থাকি। এবং একারণেই ভুগে থাকি দাঁতের নানান রকম অসুখে। কী সেই ভুলগুলো? চলুন, জানা যাক।
১) দাঁত ব্রাশ করার সময়ে আয়নার দিকে না দেখা
ঘুমের ঘোরে চোখ বন্ধ রেখেই যদি ব্রাশ করে থাকেন বেশিরভাগ সময়ে তবে জেনে রাখুন তা অনেক বড় একটি ভুল। এভাবে ব্রাশ করলে মাড়ির কাছাকাছি এলাকাটা বাদ পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে, আর এভাবেই প্লাক, টারটার আর ব্যাক্টেরিয়া জমে হতে পারে জিঞ্জিভাইটিস। এ ছাড়াও মাড়ির দাঁতগুলো ব্রাশ করার ক্ষেত্রে বেশ মনোযোগ দিতে হবে। এখানে ঠিকভাবে ব্রাশ করলে আপনি টের পাবেন কোনো ক্যাভিটি বা ভাঙ্গা অংশ আছে কিনা। ফলে এরপর ডেন্টিস্টের কাছে গেলে তাকে সব সমস্যার কথা আপনি জানাতে পারবেন।
২) আপনার ব্রাশ করার পদ্ধতিটি ভুল
মনে রাখবেন, দাঁত কিন্তু গাছের মত সোজা ওপরের দিকে ওঠে না। ব্রাশটাকে ৪৫ ডিগ্রি কোণে ধরে বৃত্তাকার পথে ব্রাশ করুন। একবারে সব দাঁত ব্রাশ না করে অল্প কিছু দাঁত ধরে ধরে ব্রাশ করুন। মুখের এক পাশ ব্রাশ করা হলে অন্য পাশ ব্রাশ করুন।
৩) আপনি বেশি জোর দিয়ে ব্রাশ করছেন
খুব বেশি জোরে ব্রাশ করতে গেলে দাঁতের এনামেল ভেঙ্গে যাবার ঝুঁকি থাকে। আর আপনার যদি দাঁত শক্ত করে চেপে রাখার অভ্যাস থাকে তবে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, বেশি জোরে ব্রাশ করলে মাড়িতে ক্ষত হবার সম্ভাবনাও থাকে।
৪) আপনি ভুল ব্রাশ ব্যবহার করছেন
সফট ব্রাশ ব্যবহার করুন, এতে দাঁতের ক্ষতি কম হবে। আপনার ব্রাশের মাঝে জমে থাকতে পারে জীবাণু, এ কারণে প্রতি তিন মাসে ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। ব্যবহারের পর ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে রাখুন আপনার ব্রাশটি।
৫) আপনি ব্যবহার করছেন ভুল টুথপেস্ট
বেকিং সোডা টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁতের দাগ দূর হয় ঠিকই কিন্তু সবসময় ব্যবহার করতে থাকলে তাতে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। তবে হোয়াইটেনিং টুথপেস্ট দাঁতের তেমন কোনো ক্ষতি করে না।
৬) আপনি ফ্লস করছেন না
ব্রাশ করবার পরেও দাঁতের ফাঁকে এমন কিছু জায়গা থেকে যায় যেখানে আটকে থাকতে পারে জীবাণু। এ কারণে নিয়মিত ফ্লস করাটা জরুরি। সঠিক উপায় ফ্লস করাটাও জরুরী। কারণ বেশি জোরে অথবা ভুল উপায় ফ্লস করলে মাড়ির ক্ষতি হতে পারে, দাঁতের মাঝে ফাঁকা জায়গাও বেড়ে যেতে পারে।
৭) আপনি ব্রাশ করার পর ভালোভাবে কুলকুচি করেন না
ব্রাশ এবং ফ্লস করার পরে ভালোভাবে কুলকুচি করে ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা মুখ থেকে দূর করে দিতে হবে। নইলে ব্রাশ করার কোনো মানেই থাকলো না। ভালো কোনো মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো। নয়তো পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলকুচি করাটাও কাজে আসে।