ঢাকা বিভাগ
ফরিদপুরে ছোটদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে ঈদ মার্কেটে
হারুন-অর-রশিদ ,ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ
ফরিদপুর জেলাতে জমে উঠেছে ঈদের জন্য ছোটদের কেনাকাটা। সন্তানকে আগাম ঈদের কেনাকাটা করে দিতে পারলেই যেন বাবা-মায়ের তৃপ্তি। সাধ্যের মধ্যে থেকে বাবা মা চেষ্টা করছে ছেলে-মেয়েদের ঈদের পোশাক কিনে দিতে। বড়দের ঈদ নিয়ে শুধু টাকার টেনশন থাকলেও ছোটদের হাত গুনায় ঈদ আসন্ন।
প্রতিদিনের তালিকায় আর কত রোজা আছে, ঈদের দিন কবে, এমন করে চলছে ছোটদের ঈদ উৎকন্ঠা। ইংরেজি মাসের চলছে ৩য় সপ্তাহ। বেতন না হলে ও চলছে জোরেসোরে ছোটদের ঈদের কেনাকাটায় অভিভাবকদের প্রথমেই থাকে ছোটদের কেনাকাটার পর্ব।
শুক্রবার জেলার বিপনী বিতানগুলোতে ঘুরে দেখা য়ায়, ছোটদের কেনাকাটার দৃশ্য। ফরিদপুর জেলাতে এবার বেশ কয়েকটি শিশুদের পোশাকের দোকান গড়ে উঠেছে। শিশুদের বাহারী নামে দোকানগুলো সাজিয়েছে শিশুদের নানা পোশাকে। জেলায় নিউ মাকের্টে শিশুদের মেলা শিশু বাহার, বেবি সপ।
অন্যদিকে তিতুমীর মার্কেটের নাফিজ সালমান কালেকশন, বেলাল ফ্যাশন হাউস,বারিপ্লাজা, আয়শা সুপার মার্কেটে শিশুদের নামে দোকানের নামকরণ করা হয়েছে। শিশুদের অকৃষ্ট করার জন্য। শিশুদের পোশাকের দোকানগুলোতে অন্যান্য দোকানের চেয়ে ভীড় বেশি।
সালমান কালেকশনের স্বত্বাধিকার মোস্তাক আহমেদ জানান, সর্বোচ্চ ডিজাইনের অসংখ্য ছোটদের পোশাকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ক’দিন থেকে বিক্রি বেশ বেড়েছে।
সালথা থেকে কেনাকাটা করতে আসা পিয়া খাতুন জানান, কেনাকাটা একরকম শেষ। অন্যদিকে ছোট মেয়েদের দেশে তৈরী পোশাকের থেকে ওপার বাংলার সিরিয়াল নাটকের নায়িকাদের পোশাকের চাহিদা গত কয়েক বছরের মতোই আকাশচুম্বি।
গত কয়েক বছর ধরে চাহিদার শীর্ষে থেকে ব্যবসা করছে পাখি জামা, কিরণমালা, মুসকানমালা, ঝিনুক মালা। সবচেয়ে চড়াদাম কিরণ মালা। ছোটদের জন্য কিরণ মালা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা আর বড়দের জন্য বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ৪০০০ টাকা। কা মালা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং মুসকানমালা ৮০০ থেকে ৯০০, ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও নানা ডিজাইনের বাহারী রকমের জামা, ফ্রোগ, থ্রি-পিচ বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক কম।
মেয়েকে নিয়ে বাজারে কেনাকটা করতে আসা অভিভাবক আমিনুল ইসলাম জানান, দেশের ভালোমানের পোশাক থাকলে ও শিশুদের পছন্দ বাহিরের পোশাকে। ইচ্ছা না থাকা সত্বেও কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছে। ছোট ছেলেদের এবারের বেশ পছন্দের তালিকায় পাঞ্জাবী, জিন্স প্যান্ট আর শার্ট।
তবে অভিভাবকদের অভিযোগ, ছেলের পছন্দ হলেই দোকানীরা দাম বেশ হাকাচ্ছে। কয়েকজন দোকানদার আসলে সময়ের সাথে সবকিছুরই দাম বেড়েছে তবে সব ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে আছে বলে আমাদের মনে হয়।