গাইবান্ধা
বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি, হুমকির মুখে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন জানান, গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের পৌর এলাকার কুটিপাড়া, ডেভিডকোম্পানীপাড়া ও গোদারহাটের ৮টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি চোয়াচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে শহরবাসি আতংকের মধ্যে রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি হাট, তহশিল অফিস, ফুলছড়ি এবং সাঘাটার ভরতখালির হাট তিনটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাটের উপর দিয়ে এখন নৌকা চলছে। বৃহত্তর ওই হাট তিনটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় ওইসব এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে।
অপরদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের ২০টি পয়েন্টে সড়কের উপর দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সাথে গাইবান্ধা জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া জেলার ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৫টি হাইস্কুল বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ২ হাজার ৪৪ হেক্টর বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলায় ৬৫টি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবায় কর্মরত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ৬শ’ মে.টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ও ফুলছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্গত ৫শ’ মানুষের মধ্যে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।