Connect with us

রাজনীতি

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর ভোট বর্জন

Published

on

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরওয়ার এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবাইদুর রহমান মাহাবুব পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তাঁদের অভিযোগ কারচুপি নয়, ভোট ডাকাতি হচ্ছে। এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে দুই দলের অনুসারীরা নগরীর সদর রোডে মিছিল করে।

বিএনপির প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরওয়ার বেলা সাড়ে ১১টরি দিকে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজীপুর-খুলনার চেয়ে খারাপ ভোট হয়েছে। জীবনে এইভাবে ভোট ডাকাতি দেখেননি তিনি। প্রায় ৭০টি কেন্দ্রে এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে ভোট বন্ধের অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু তাঁরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভোট বর্জন করেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ঘোরাও করার কথা বলেছেন। এরপর সদর রোডে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সংক্ষিপ্ত মিছিল করে।

এদিকে, সকাল ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ওবাইদুর রহমান মাহবুব। তিনি অভিযোগ করেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ মোটামুটি ঠিক ছিল। এরপর থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন নৌকায় ভোট দিতে থাকে। সব কেন্দ্রেই এ ঘটনা ঘটছে। ইভিএম কেন্দ্রের ডিসপ্লেতে সব প্রতীক দেখানোর কথা থাকলেও শুধু নৌকা ও আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রার্থীদের প্রতীক সেখানে দেখানো হচ্ছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। এ জন্য আমরা ভোট বর্জন করলাম।’

নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে অভিযোগ জানানো হয়েছে কি না—জানতে চাইলে ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘ফোনে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও স্বীকার করেছেন, এমন নির্বাচন আর হয়নি। আমরা লিখিত অভিযোগ জানাতে যাচ্ছি।’

হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবার সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ এবং নারী ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৭৩০। এই সিটি করপোরেশনের চতুর্থ নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ১২৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৫০টি। এর মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলছে। ১২৩টি কেন্দ্রের ১১২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *