খেলাধুলা
বাংলাদেশ ৫, দক্ষিণ আফ্রিকা ২
স্পোর্টস ডেস্ক:
শিরোনাম দেখে হকচকিয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশ তো দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। সেটাও বেশকিছু দিন হলো। তাহলে ৫-২ কেন? এই কীর্তি বাংলাদেশের ছোটদের। আরও পরিষ্কার করে বললে, বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল সপ্তম এবং শেষ ওয়ানডেতেও দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ২২ রানের জয় পেয়েছে। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা মেহেদি হাসান মিরাজের দল প্রোটিয়াদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে। যারা ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন, তারা জানেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটিই অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। অনুর্ধ্ব-১৯ দল হোক কিংবা জাতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটে গিয়ে বাইরের দলগুলোকে রীতিমতো খাবি খেতে হয়। সেখানে বাংলাদেশের যুবাদের পারফরম্যান্স অভাবনীয়। ছোটদের এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরো বড় কিছুর স্বপ্ন দেখাবে নিশ্চিত। কারণ আজকের সাকিব, মুশফিকরা যে এসেছেন অনুর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই। এদিন ডারবানের কিংসমিডে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ। দুই ওপেনার সাইফ হাসান এবং পিনাক ঘোষ ৬৩ রান তুলে দারুণ শুরু করে দিয়ে যান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পিনাক (৩১) আউট হলে এ জুটি বিচ্ছিন্ন হয়। আরেক ওপেনার সাইফের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৬-তে পৌঁছেছে মূলত জয়রাজ শেখের কল্যাণে। তিনি মাত্র ১০ রানের জন্য কাক্সিক্ষত তিন অঙ্কের কোঠা স্পর্শ করতে পারেননি। ১০৬ বলে ছয় চার, দুই ছক্কায় ৯০ রানের ইনিংস খেলেন জয়রাজ। এছাড়া ৫৯ বলে জাকির হাসান করেন ৪২ রান। মুলডার ৪৬ এবং লুডিক ৬০ রান দিয়ে পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। ২৬৭ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ছোটরা মিরাজের বোলিং তোপে ৪৯.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে ২৪৪ রান। সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন এল স্মিথ। এছাড়া এডি গেলিয়েমের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫ রান। মিরাজ ৪৮ রানে ৪টি, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৫৫ রানে পেয়েছেন ২টি উইকেট। অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন জয়রাজ। সিরিজ সেরা হয়েছেন পিনাক ঘোষ।