জাতীয়
বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
বাবুলের চাকরি করার ইচ্ছা নেই বলে এর মধ্যে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হকের বক্তব্যও আসে, যদিও গণমাধ্যমে খবর আসে যে, বাবুলকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘২৪তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে যোগদানকৃত বাবুল আক্তার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, সিএমপি (বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এবং পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত) কে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হল’।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে গত ২৪ জুন চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে এবং ৯ আগস্ট তা প্রত্যাহারে দুটি পৃথক আবেদন করেন এসপি বাবুল।
অব্যাহতি প্রত্যাহারের আবেদনে তিনি দাবি করেন, ‘পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে বাধ্য হয়ে আমি অব্যাহতিপত্র স্বাক্ষর করেছি’। এটি আমি স্বেচ্ছায় দাখিল করিনি।
এছাড়া বাবুল আক্তার ৪ আগস্ট পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন) বরাবরে কাজে যোগদান করতে আরেকটি পত্র দেন। বাবুল আক্তারের এসব পত্রকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হয় এক ধরনের জটিলতা। কারণ এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে সরকার অথবা বাবুল আক্তারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য পদোন্নতি পেয়ে এসপি হয়ে বাবুল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসার কয়েক দিনের মধ্যে গত ৫ জুন সকালে বন্দর নগরীর ও আর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে খুন হন তার স্ত্রী মিতু।
শুরুতে জঙ্গিদের সন্দেহ করা হলেও মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, এটা ছিল দুর্বৃত্তদের হামলা।
গত ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে তুলে আনে পুলিশ। প্রায় ১৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রায় দেড় মাস বাবুল অফিসে যাননি।
এরপর গত ৩ অগাস্ট বাবুল পুলিশ সদর দপ্তরে গেলেও তিনি কাজে যোগ দেননি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।