Connect with us

দেশজুড়ে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা সংঘর্ষ -ছাত্রলীগের কর্মী সহ আহত ১০

Published

on


বেরোবি প্রতিনিধি:
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় ত্রিমুখী হামলা ও সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সহ উপাচার্য অপসারনের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপর হামলায় মোট ১০ জন আহত হয়। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত দফায় দফায় ত্রিমুখী হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,প্রতিদিনের ন্যায় উপাচার্য অপসারনের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা/কর্মচারীরা আন্দোলন মঞ্চের সামনে সোমবার সকাল থেকে অবস্থান নেয় । এসময় বেশ কয়েকজন লাঠিহাতে নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে মারধর করে ও হামলা চালায়।হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান, হিসাব রক্ষন পরিচালক শাহ্ রেজাউল করিম,এম.এল.এস.এস পারভেজ সহ মোট ৯ জন আহত হয় বলে জানা যায়। উল্লেখিত ৩ জনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে তাৎক্ষনিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এ্যামবুলেন্সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কেবা কাহার এই হামলা করেছে এ বিষয়ে আন্দলনরতরা জানান ছাত্রলীগের একাংশ এঘটনার সাথে জড়িত। তবে বিশ্ববিদ্যলয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা মাহামুদ ও সাংগঠনিক-সম্পাদক নাকিবুল কায়েস জানান এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারছিনা। আমরা স্থগিত ২০১৪-১৫ ইং শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা জরুরী ভিত্তিতে নেয়ার তাগিতে গণসাক্ষর সংগ্রহ ও স্মারকলিপি তৈরিতে ব্যস্ত ছিলাম।
এদিকে স্থগিত ২০১৪-১৫ ইং শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা জরুরী ভিত্তিতে নেয়ার তাগিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ও নীলদলকে স্মারকলিপি প্রদান শেষে উপাচার্যের বাস ভবনের দিকে গেলে ১০-১২ জন বহিরাগত উপাচার্যের বাস ভবনে হামলার চেষ্টা করে। এক সময় সেখানে সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানরে উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোলায়মান হাসান খান (সিজার) কে বহিরাগতরা বেধম মারপিটে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। সোলায়মান হাসান খান (সিজার) এর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষনিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এ্যামবুলেন্সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হামলা ও আহত করার প্রতিবাদে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপরে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, হামলার ঘটনাটি আমি তাৎক্ষণিক ভাবে জেনেছি। কে বা কাহারা এধরনে ঘটনা ঘটিয়েছে এবিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কেন হামলা করা হল এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *