জাতীয়
ব্যবসায়ী-হকার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র গুলিস্তান, আটক শতাধিক
দুপুরে স্থানীয় ট্রেড সেন্টারের সামনের ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের দোকান বসাতে বাধা দিলে দোকান মালিক কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে পরিস্থিতির ভয়াবহ হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। সংঘর্ষের কারণে গুলিস্থান ও আশেপাশের এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবারও একই কারণে সেন্টারের দোকানমালিকদের সঙ্গে হকারদের মারামারি হয়। দোকানমালিকদের দাবি, সেন্টারের সামনে হকাররা বসার কারণে সেখানে ক্রেতাদের আসা-যাওয়ায় সমস্যা হয়। এ কারণে হকারদের বসতে দেওয়ার পক্ষে নন তাঁরা। কিন্তু হকাররা ছোট পরিসরে হলেও সেখানে পসরা নিয়ে বসার দাবি জানান। মূলত এই নিয়েই দুই দিন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, আহতরা প্রত্যেকেই ইটের আঘাতে আহত হন। তাদের মধ্যে মতিঝিল ডিভিশনের ডিসি আনোয়ার হোসেনের মাথায় ইটের আঘাত লাগে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এ সময় মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেনের মাথায় ইটের টুকরা লাগে। এতে তিনি আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোর্শেদ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। সেন্টারের ভেতর থেকে শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। যাচাইবাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জনগণের চলাচলের স্বার্থে গুলিস্তান এলাকায় হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ কাজে যারা বাধা সৃষ্টি করেছে তাদের গ্রেপ্তার, মামলা ও বিচারের আওতায় আনা হবে।