Connect with us

খেলাধুলা

ব্রাজিলকে সুখবর দিলেন নেইমার

Published

on

ব্রাজিলকে সুখবর দিলেন নেইমার

ব্রাজিলকে সুখবর দিলেন নেইমার

ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার এর জীবনের অন্য কোনো অংশই থেমে নেই। ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নৈশক্লাবে বোনের জন্মদিনের উৎসবেও যাচ্ছেন। তবে তাতেও কি নেইমারকে ঘিরে বড় প্রশ্নটার উত্তর মেলে! ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড চোট কাটিয়ে ফিরবেন কবে? বিশ্বকাপের আগে ঠিক সময়ে ফিরবেন তো?

এমন শঙ্কা যাঁদের মনে, ব্রাজিল জাতীয় দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমারের কথাটা তাঁদের কানে মধু ঢালবে নিশ্চিত। নেইমারের পায়ে অস্ত্রোপচারটা এই ভদ্রলোকই করেছিলেন। পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ারও খোঁজখবর নিয়মিত রাখছেন। তাঁর চিকিৎসক চোখই বলছে, নেইমার সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় সঠিক পথেই আছেন।

গত মাসে অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে লিগের ম্যাচে পায়ে চোটটা পেয়েছিলেন নেইমার। প্রথমে যেটিকে সামান্য মোচড় মনে করা হচ্ছিল, পরে দেখা গেল সেটিই বড় ফাটল। অস্ত্রোপচারই করাতে হলো। শঙ্কাও তখন থেকেই। বিশ্বকাপের আর তিন মাসও বাকি নেই। এমন সময় অস্ত্রোপচার, সেটি থেকে সেরে ওঠা, ঠিক সময়ে খেলার মতো ফিটনেস নিয়ে ফেরা…পারবেন তো নেইমার?

ফ্রেঞ্চ দৈনিক লে’কিপ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাসমার বলছেন, পারবেন। ব্রাজিলে নেইমারের পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া যে ফিজিওথেরাপিস্টরা দেখাশোনা করছেন, তাঁদের সঙ্গে ‘দিনে দু-তিনবার’ কথা হয়। নিজের অভিজ্ঞতা আর খোঁজখবরে পাওয়া জ্ঞান থেকেই লাসমারের উপলব্ধি, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকভাবে চলছে বলেই মনে হচ্ছে। ওরা (ব্রাজিলের চিকিৎসকেরা) আমাকে নেইমারের সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার সব খুঁটিনাটিই জানায়। ওরা খুব পেশাদারভাবেই করছে সবকিছু। কঠোর পরিশ্রমও করছে যাতে ও (নেইমার) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরতে পারে। এটাও নিশ্চিত করছে যেন ওর পায়ে এই চোট থেকে আরও নতুন কোনো সমস্যা না হয়।’

তা সবকিছু ঠিকভাবে চলছে, সেটা ভালো খবর। কিন্তু ‘ভালো চলা’ তো আর ফেরার তারিখের নিশ্চয়তা নয়। ব্রাজিল ও নেইমার-ভক্তদের তো এখন সবচেয়ে বেশি জানার দরকার সেটিই। কত দিন লাগতে পারে, সেই প্রশ্নে অবশ্য লাসমার এখনই কিছু বলতে পারছেন না, ‘যেটা নিশ্চিত করে বলা যায়, সেটি হলো নেইমার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরতে মরিয়া। তবে অস্ত্রোপচারের পর সেরে ওঠার অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আমরা ছয় সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করব। সেই সময় পর্যন্ত (ছয় সপ্তাহ) চোটের অবস্থা কী দাঁড়ায়, সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আমাদের। তারপর আমরা পরবর্তী ধাপটা কী হবে, সেটি ঠিক করব। ও কবে ফিরতে পারবে, সেটির একটা তারিখও দিতে পারব।’

লাসমারের কাছ থেকেই জানা গেল অস্ত্রোপচার লাগবে শুনে নেইমারের অনুভূতির কথা। স্বাভাবিকভাবেই খুশি হওয়ার কথা নয় পিএসজির ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের। কতটা কষ্ট পাচ্ছিলেন নেইমার, সেটিই বলছিলেন লাসমার, ‘চোটের গভীরতার কথা শুনে, অস্ত্রোপচার লাগবে শুনে ও অনেক কষ্ট পেয়েছে। বিশ্বকাপের মতো একটা আয়োজনের ঠিক আগে এসে এমন চোট সব সময়ই ভয়ংকর। প্রথম দিকে সে খুবই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে ওর খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার সামর্থ্য আর মানসিক শক্তিই সেটা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’

সেটি চোট কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করুক, ব্রাজিলের চাওয়া এটিই।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *