আন্তর্জাতিক
‘ভারতে মুসলমানদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে’
ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মত প্রকাশ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা সামলাতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। “উদ্বেগের বিষয় হলো ক্ষমতাসীন বিজেপির কিছু নেতার মুসলিম-বিরোধী উস্কানিমুলক বক্তব্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে দিয়েছে।”
উদাহরণ হিসাবে এইচডব্লিউও গরুর মাংস লুকিয়ে রাখার গুজবে সম্প্রতি একজন মুসলিমকে পিটিয়ে মারার ঘটনা উল্লেখ করেছে। লেখা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পর ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, কিছু বিজেপি নেতা সেসময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাদ দিয়ে প্রতিবাদকারীদের প্রতিই আক্রমণ শানিয়েছেন।
সংস্থার রিপোর্টে আরও লেখা হয়েছে, সরকারের সমালোচনা করছে এমন নাগরিক সংগঠনগুলো যাতে বিদেশী সাহায্য না পায় সে লক্ষ্যে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সরকার দেশদ্রোহ, মানহানি বা ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে যে সব আইন-কানুন রয়েছে সেগুলো ব্যাবহার করছে।
তিস্তা সেতালভাদ এবং জাভেদ নামে দুজন মানবাধিকার কর্মী যখন ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কথা বলেন, সরকার তখন তাদের “দেশ-বিরোধী” বলে আখ্যা দেয়।
হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলছেন, “ভিন্নমতকে সরকার যেভাবে দমন করছে, তাতে স্বাধীন মত প্রকাশে ভারতের দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য খাটো করা হচ্ছে।”
“ভারত সব সময় বিশ্বের বড় বড় ইস্যুতে ভূমিকা রাখতে চায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাতে খুবই আগ্রহ, কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের ভেতর ও বাইরে মানবাধিকার রক্ষায় ভারতের দুর্বল রেকর্ড উন্নত করার উদ্যোগ নিতে তিনি ব্যর্থ।” বিবিসি বাংলা।