Connect with us

জাতীয়

মন্ত্রিসভার সংশোধিত দুদক আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন

Published

on

downloadদুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধিত আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ সময় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত চূড়ান্ত অনুমোদন এবং পেট্রোলিয়াম আইন-২০১৫ এরও খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১২ সালে দুদক আইন সংশোধন করে জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়টি যুক্ত করা হয়। আইনটি হওয়ার পর বেশ কিছু বাস্তব অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য বাংলাদেশে হাজার হাজার মামলা হয়। কিন্তু এসব মামলার আশানুরূপ নিষ্পত্তি দুদকের পক্ষে করা সম্ভব হয় না। প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয়টি দুদক আইনে যুক্ত হওয়ায় পুলিশ প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা গ্রহণ করে না। ফলে এ ধরনের মামলার সংখ্যা বাড়ছে, নিষ্পত্তিও হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে কেবিনেটকে জানানো হয় এবং দুদক আইন সংশোধন করে প্রতারণা ও জালিয়াতির তদন্ত দুদকের শিডিউল থেকে বাদ দেওয়া দরকার বলে মত দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হয়। তারা উভয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ ও প্রস্তাবে সায় দেয়। তখন সরকারের সঙ্গে দুদকের একাধিকবার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি সম্পত্তিসংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির সঙ্গে বেসরকারি লোকজনও যদি জড়িত থাকেন, তাহলে দুদক তদন্ত করবে। এ ছাড়া কোনো সরকারি কিংবা ব্যাংকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনকালে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ এলে দুদক তা তদন্ত করবে। বাকি সব ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করবে পুলিশ।’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *