Connect with us

বিচিত্র সংবাদ

মহাদেবপুরের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী দীপশিখা এখন ফার্স্টফুটের দোকান

Published

on

মহাদেবপুর প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও সৃজনশীল সাহিত্য ও জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা শাখার বই পাঠের অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতবছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম তাজকির-উজ-জামান’র উদ্যোগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নসহ গ্রামে গ্রামে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর দীপশিখা’র কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জন্য ১০টি দীপশিখায় ব্যাটারী চালিত অটো চার্জার রিক্সা-ভ্যানে এ ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী প্রতিদিন পাঠকদের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা কিন্তু বর্তমানে তা ফার্স্টফুটের দোকানে পরিণত হয়েছে। উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্যকৃত এই ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ভ্রাম্যমান ফাস্টফুটের দোকান হিসাবে। এই লাইব্রেরীটি পরিচালনা করার দায়িত্য দেওয়া হয়েছিল ইউনিয়নের গ্রাম্যপুলিশ সদস্যের উপর। কিন্তু বর্তমানে তা পরিচালনা করছেন ওই ইউনিয়নের মহিলা গ্রাম্যপুলিশের স্বামী সাজ্জাক হোসেন। যেখানে থাকার কথা ছিল বই, খাতা, কলমসহ বিভিন্ন সৃজনশীল সাহিত্য ও জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা তথ্য। বর্তমানে এই লাইব্রেরীতে এসবের জায়গায় স্থান পেয়েছে বিস্কুট, চকলেট, চানাচুর ভাজা, কেক, চাটনীসহ হরেক রকমের মুখরোচক খাবার। আর এসব ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীতে সাজিয়ে ভীমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল ও গ্রামে-গঞ্জে বিক্রয় করছেন তিনি। এদৃশ্য দেখে হতবাগ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। এই ব্যপারে লাইব্রেরী পরিচালনাকারী সাজ্জাক হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বই পুস্তুক, খাতা-কলম এসব ছাত্র-ছাত্রীরা এখান থেকে নেয় না। যার ফলে লাইব্রেরীর কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্কুল টাইমে আমি ইউনিয়নের বিভন্ন স্কুলের গেটে অবস্থান করি তখন খাতা-কলম রাখি। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বরাদ্যকৃত প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ২২ হাজার টাকার বিভিন্ন বই, খাতা-কলম প্রদান করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন বই-পুস্তকগুলো বাড়ীতে সাজানো আছে। এই বিষয়ে ভীমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রী রাম প্রসাদ ভদ্র এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই লাইব্রেরীটির কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। তবে লাইব্রেরীর কার্যক্রমের পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য কিছু খাবার বিক্রয় করেন সাজ্জাক হোসেন। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খাদ্য দ্রব্যের দোকান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এটা আপনার কাছে প্রথম শুনলাম, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *