জাতীয়
মহাসড়কে গত ৪ দিনে কমেছে দুর্ঘটনা
মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে চলতি মাসের প্রথম ৪ দিনে কমেছে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা। বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট পরিচালিত ৪ দিনের একটি তুলনামূলক জরিপে বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য। তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনা কমার ফলাফল আরও জোরালোভাবে পাওয়া যাবে দীর্ঘ মেয়াদের গবেষণায়। ৩ চাকার যানের এই অবাধ বিচরণ শুধু এই সড়কে নয়, এই চিত্র ছিলো দেশের প্রায় সব সড়ক মহাসড়কেই।
সম্প্রতি মহাসড়কে এই যানের গতি টেনে ধরে সরকার। আর এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অবরোধ আর আন্দোলনে নামে এই যানের মালিক শ্রমিকরা।
মহাসড়কে সব দুর্ঘটনার কারণ যে এই তিন চাকার যান এমন নয় কিন্তু এসব ধীর গতির যানের কারণে অনেক সময়ই ঘটেছে দুর্ঘটনা। বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট- এআরআই বলছে, পয়লা আগস্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর সারা দেশেই কমেছে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা।
এআরআই’এর জরিপে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসের প্রথম চারদিনে যেখানে গড়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিলো ৩০ টি সেখানে গত ৪ দিনে দুর্ঘটনা নেমেছে ২২টিতে।
বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘দেশের মহাসড়কগুলোতে একই সঙ্গে দ্রুত গতির ও কম গতির গাড়ি চলাচলের কারণে ওভারটেকিং বেড়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর দুর্ঘটনার হার কমেছে।’
তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪ দিনের জরিপে দুর্ঘটনার সংখ্যা কম পাওয়া গেলেও এ ব্যাপারে আরও জোরালো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হলে প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদী গবেষণা।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ সামছুল হক জানান, ‘দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য তাদের শুধু মহাসড়ক থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু আঞ্চলিক সড়কগুলোতে তাদের চলাচলে বাধা নেই। মহাসড়কগুলোতে তাদের বিচরণ সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত অবশ্যই সাধুবাদের দাবি রাখে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও ঠিক যে এর সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবীকার বিকল্প উপায়টি নিয়েও চিন্তা করতে হবে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ