জাতীয়
মাগুড়া ও চাঁদপুরে হরতাল নাশকতা- পেট্রলবোমার আগুনে ঝরে গেল আরও দুই প্রাণ
বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের টানা হরতাল ও অবরোধের বলী হয়ে ঝরে গেল আরও দুটি প্রাণ। এর মধ্যে মাগুরা জেলার সদর থানার মাঘীরঢাল এলাকায় চলন্ত ট্রাকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দগ্ধ একজন এবং চাঁদপুরে চলন্ত ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ঢামেকে চিকিৎসাধীন খোরশেদ আলম (৩০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মাগুড়ার ঘটনায় নিহতের নাম মো. ইয়াদুল মোল্লা (১৮)। তিনি হামলার শিকার হওয়া ট্রাকটির হেলপার ছিলেন। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শরীরে ৯০ শতাংশে পুড়ে যাওয়ায় মারাত্মক আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হন ইয়াদুল। ইয়াদুল মোল্লার বাবার নাম মৃত জহুর মোল্লা। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার বাসিন্দা। গত ২১ মার্চের ওই ঘটনায় ৯ জন দগ্ধ হন। ইয়াদুলসহ ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হলো। এর আগে মতিন বিশ্বাস, শাকির মোল্লা ও রওশন বিশ্বাস নামে তিনজনের মৃত্যু হয় বলে জানান ইয়াদুলের আত্মীয় শাহাদাত।এছাড়া বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান খোরশেদ আলম। ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় দগ্ধ ট্রাক হেলপার রুবেল (২৫) এখনও বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে খুলনাগামী কাগজবহনকারী চলন্ত ট্রাকটিতে চাঁদপুর ফেরিঘাটের নিকটে পেট্রলবোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘটনাস্থলেই ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর আলম মারা যান। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন জনকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হলে ২২ মার্চ ট্রাক মালিক খন্দকার শরিফুল ইসলাম মারা যান।