Connect with us

আন্তর্জাতিক

মাদার তেরেসাকে সন্ত ঘোষণা পোপ ফ্রান্সিসের

Published

on

mediaitemঅনলাইন ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল জয়ী ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী মাদার তেরেসাকে সন্ত ঘোষণা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ইতালির ভ্যাটিকান সিটির সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় এক লাখ পুণ্যার্থীর উপস্থিতিতে তাকে সন্তু হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
রবিবার সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় মাদার তেরেসার সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন কার্ডিনাল অ্যাঙ্গেলো আমাতো। এরপর তিনি পোপ ফ্রান্সিসকে সন্তু হিসেবে তেরেসার নাম ঘোষণার আহ্বান জানান। পোপ ফ্রান্সিস বলেন, প্রযোজ্য আলোচনা ও ঐশ্বরিক সহায়তার জন্য প্রার্থনা ও আমদের বিশপ ব্রাদারদের পরামর্শ নেয়ার পরে আমরা কলকাতার আশীর্বাদপ্রাপ্ত তেরেসাকে সন্তু হিসেবে অধিভুক্ত করছি, নির্দেশ দেয়া হচ্ছে পুরো চার্চ (ক্যাথলিক) তাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবে সন্তু হিসেবে।
মাদার তেরেসার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর একদিন আগে তাকে সন্ত ঘোষণা করা হলো। ১৯৯৭ সালে মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭। আলবেনিয়ায় ১৯১০ সালের ২৫ আগস্ট জন্ম নেয়া আনিয়েজ গঞ্জে বয়াজিও ‘নান’ হন ১৯২৮ সালে। তখন তার নাম হয় সিস্টার তেরেসা। ১৯৩৭ সালের ২৪ মে তেরেসা ‘মাদার’ হন। রবিবার সন্ত ঘোষণার পর থেকে তিনি হলেন ‘সন্ত’ তেরেসা। এর পর তাঁর নামে ‘হোলি মাস’ হতে পারবে। চার্চ নামাঙ্কিত হতে পারবে তেরেসার নামে এবং ছবিতে তাঁর মাথার পিছনে ‘হেলো’ বা জ্যোতির্বলয় থাকতে পারবে।
মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে সেবা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি গরীব, অসুস্থ, অনাথ, অসহায় ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করেছেন। সেই সঙ্গে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিকাশ ও উন্নয়নেও নিবিড় পরিশ্রম করেছেন। প্রথমে ভারত ও পরে পুরো বিশ্বে তিনি তাঁর এই মিশনারি কার্যক্রম ছড়িয়ে দেন।
১৯৭০-এর দশকের মধ্যেই সমাজসেবী এবং অনাথ ও আতুরজনের বন্ধু হিসেবে তাঁর খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ম্যালকম মাগারিজের বই ও প্রামাণ্য তথ্যচিত্র সামথিং বিউটিফুল ফর গড তাঁর সেবাকাজের প্রচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭৯ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি তাঁর সেবাকাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন লাভ করেন। ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাদার তেরেসার মৃত্যুকালে বিশ্বের ১২৩টি রাষ্ট্রে এইচআইভি/এইডস, কুষ্ঠ ও যক্ষার চিকিৎসাকেন্দ্র, ভোজনশালা, শিশু ও পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র, অনাথ আশ্রম ও বিদ্যালয়সহ মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ৬১০টি কেন্দ্র বিদ্যমান ছিল। বিবিসি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *