বিনোদন
মায়ের কবরে শায়িত হলেন ফরিদা ইয়াসমীন
বিনোদন ডেস্ক : মায়ের কাছেই সন্তানেরা চির নিরাপদ। সেই মায়ের কবরেই চির নিদ্রায় গেলেন ষাট দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীন। শিল্পীর ছোট ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন জানালেন, রোববার দুপুর সাড়ে ৩টায় মিরপুর-১১ এর জান্নাতুল মাওয়া গোরস্তানে মা মওদুদা খাতুনের কবরে সমাহিত করা হয়েছে গুণী কণ্ঠশিল্পীকে।
এসময় গোরস্তানে উপস্থিত ছিলেন বোন সাবিনা ইয়াসমিন, ফওজিয়া খান, স্বামী কাজী আনোয়ার হোসেন, দুই ছেলে শাহনূর হোসেন ও মাইমুর হোসেনসহ আত্মীয়রা। সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, আকরাম খানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ফরিদা ইয়াসমীনের সঙ্গে নিজের স্মৃতি মনে করে সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম ডুয়েট গান ফরিদার সঙ্গে গাওয়া। গানটির সুরকার ছিলেন শেখ মুহিতুল ইসলাম। ‘একালের রূপকথা’ নামের একটি চলচ্চিত্র ছিলো সেটি। যদিও পরে আর এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। এর পরে আরও অনেক গান করেছি একসঙ্গে। উনি বেশিদিন গান করেননি। পরে অজানা কারণেই স্বেচ্ছায় গান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। খুব চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন।’
১৯৫৮ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত সিনেমা আর রেডিওর গানে ফরিদা ইয়াসমীনের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। সে সময় তিনি আধুনিক বাংলা গান, উর্দু গান ও গজলে বিশেষ পারঙ্গমতার পরিচয় দেন। আজকের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনেরই বড় বোন এই ফরিদা ইয়াসমীন। তারা ৫ বোন। এর মধ্যে চারজনই সঙ্গীতাঙ্গনে সাড়া জাগিয়েছেন। ফরিদা, সাবিনা ছাড়া অন্য দুই বোন হচ্ছেন নীলুফার ইয়াসমীন ও ফওজিয়া খান।
এক সময় ফরিদা ইয়াসমীনের গাওয়া- ‘তুমি জীবনে মরণে আমায় আপন করেছো’, ‘জানি না ফুরায় যদি এই মধুরাতি’, ‘তোমার পথে কুসুম ছড়াতে এসেছি’, ‘খুশির নেশায় আজকে বুঝি মাতাল হলাম’ প্রভৃতি গান এক সময় ছিল সঙ্গীতপ্রেমীদের মুখে মুখে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফরিদা ইয়াসমীন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মুত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তিনি কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের বোন। অন্যদিকে প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীনও তার বোন। সেই সূত্রে গায়ক আগুন ফরিদা ইয়াসমীনের ভাগ্নে।