Connect with us

ঢাকা বিভাগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টা”

Published

on

mamlaহারুন-অর-রশীদ,ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি নিরীহ পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে । জানা যায়, উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের এক নিরীহ ব্যবসায়ী ও তাঁর কলেজ পড়–য়া শিশু মেধাবী ছেলে দুর্জয় রহমান (১৫) কে মিথ্যা মামলার অভিযোগ এনে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ।

পরিবারের অভিযোগ, দুর্জয় রহমানের বয়স পনের বছর । সেখানে বাংলাদেশের আইন অনুসারে সে একজন শিশু । তাকে কিভাবে কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অনিক সরদার (২২) দেখিয়ে মানব পাচার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো এ নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাবিবুর রহমান একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার । তাঁর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হ্যাপি কনস্ট্রাকশন এলাকায় সুনামের সাথে কাজ করছে । তাঁর পরিবারের দাবি, সে কোনো প্রকার আদম ব্যবসা ও মানব পাচারের সাথে জড়িত নয় ।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, হাবিবুর রহমান ও শিশু ছেলে দুর্জয় রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে ফাঁসাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট করান মাহমুদা জামান নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি । আর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, হাবিবুর রহমান একজন আদম ব্যবসায়ী ও মানব পাচারকারী । অন্যদিকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই মামলাটি রুজু করা হয় বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন হাবিবুর রহমানের বড় মেয়ে হ্যাপি রহমান ।

হ্যাপি রহমান আরো অভিযোগ করেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন দুই বাংলাদেশী।” এই শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করান মাহমুদা জামান । সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী আজিজুল মোল্যা (৪৮) ও তার ছোট ভাই তৈয়ব মোল্যা (২০) কে কানাডার কথা বলে দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে এবং টাকা না দিলে তাদের হত্যা করা হবে ।

স্থানীয় একটি সূত্র সাংবাদিকদের জানায়, আজিজুল মোল্যা ও তার ছোটো ভাই তৈয়ব বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আর এ মর্মে কোর্টে একটি জবানবন্দীও দিয়েছেন বলে সূত্রটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে। তবে তাদের কানাডার কথা বলে দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে আটক করে রাখা হলে তারা কিভাবে দেশে ফিরলেন এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে !

হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সেলিনা বেগম কান্নার স্বরে বলেন, “বাবা আমরা নিরীহ মানুষ। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাদের বাঁচান ।”

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সাহেব আলী জানান, মামলাটির তদন্ত চলছে। তবে এটি মিথ্যা মামলা কি-না ? তা তদন্তের পরে জানানো যাবে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত বলা যাচ্ছে না ।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এটি মিথ্যা মামলা কিনা সেটি আমার জানা নেই । তবে মিথ্যা মামলায় কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হলে সে যত ক্ষমতাশালীই হোক তাকে তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *