Connect with us

জাতীয়

মেহেরপুরে জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চাুলিয়ে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ

Published

on

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দীতে জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা একটি বাড়িতে পুলিশের অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযানে ভাড়াটিয়া দুই নারী ও বাড়ি মালিকের ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। পরে অবশ্য ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। জঙ্গী সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিরুদ্ধে কোন জঙ্গী সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কোন তথ্য না পাওয়া যায় রাতে ওই দুই নারীকেও ছেড়ে দেয়া হতে পারে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বামন্দীর আখ সেন্টারপাড়ার সৌদি আরব প্রবাসী মিশকাত আলীর দোতলা বাড়িটি ঘিরে রাখে মেহেরপুর জেলা পুলিশের একাধিক দল। পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য সাঁজোয়া হয়ে বাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন সরিয়ে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ভেতরের বাসিন্দাদের হ্যান্ড মাইকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানায় পুলিশ। পরে পুলিশের অগ্রগামী অভিযান দলটি দোতলায় অভিযান শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে অভিযান শেষ হয়। এ সময় রজনী খাতুন (২০) ও মাবিয়া খাতুনকে (৩৫) দুই শিশু সন্তানসহ আটক করে পুলিশ। তাদের স্বামীদের কাউকে পায়নি পুলিশ। অভিযানের সময় কোন বিস্ফোরক দ্রব্য কিংবা অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, সৌদি প্রবাসী মিশকাত আলী বাড়িভাড়া দিয়ে ২০-২২ বছর যাবৎ সৌদি থাকেন। রজনির স্বামী দেড় মাস আগে ব্যবসার জন্য বাড়িটি ভাড়া নেয় বাড়ির দায়িত্বে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে। তাদের দুইজনের স্বামী ব্যবসায়িক কাজে বাইরে আছে বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয়রা আরও জানান, তারা জঙ্গী না পারিবারিক কলহের কারণে এখানে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তারা বামুন্দি এলাকার বাসিন্দা।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকতেন। ১৫ দিন আগে রজনী ও মাবিয়া স্বামী সন্তানসহ দোতলায় ভাড়ায় আসেন। কিন্তু তারা ওই বাড়ির নিচতলা ও আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন না। খুব একটা বাড়ি থেকে বেরও হতেন না। তাদের চলাফেরা সন্দেহজনক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তাদের সঙ্গে জঙ্গী সম্পৃক্ততা থাকতে পারে সন্দেহ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না মেলায় তাদের মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *