রণজিৎ দাস,রংপুর: রংপুরে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুরহাটগুলো। ইতোমধ্যে বাজারে প্রচুর পরিমানে দেশীয় পশুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর আমদানি হয়েছে। কোরবানীর পশুর হাট গুলোতে এখনো ক্রেতাদেও তেমন পদচারণা দেখা যাচ্ছে না। তাই গরু বিক্রিও হচ্ছে কম তবে বাজারে মুল্য এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের হাতের নাগালে। রংপুরের লালবাগ, খানশামাহাট, দেউতি, চৌধুরাণী বুড়িরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি বেশ জমে উঠেছে। আজ রবিবার লালবাগ হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের অভিযোগ দাম বেশি আর বিক্রেতাদের অভিযোগ দাম তেমন একটা নেই। খামারীরা সারা বছর গরু পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করে থাকে। ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি ও অবস্থা স¤পন্ন ব্যক্তিরা ইতোমধ্যে কোরবানির গরু সংগ্রহ শুরু করেছেন। বড় গরুর চাইতে ছোট গরুর চাহিদা বেশি এবং বিক্রিও বেশি। গরুর বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তেমন নেই বললেই চলে। ক্রেতার চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি গরুও উঠেছে বাজারে। বিক্রেতাদের অনেকের অভিযোগ কৃষক ও খামারীদের কাছে সরাসরি গরু পাওয়া যায় না , কিছু দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্যভোগি হিসেবে গরু দাম বেশি করে হাঁকছেন। আবার ক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষি সহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বেশি। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না। গরু ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন, খোরশেদ আলম ও আকমল হোসেন বলেন, গরুর বাজার পুরোদমে জমে না উঠার ফলে এখনও গরুর মুল্য বুঝা যাচ্ছে না। বাজারে কোরবানী দেওয়ার উপযুক্ত গরু আসতে শুরু করেছে। ইজারাদার ঈদকে সামনে রেখে বাজারকে রং বেরং দিয়ে সাজাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকার ও কোরবানীর গরু ক্রয় করতে ক্রেতারা উপস্থিত হয় এখানে। হারাগাছের মায়াবাজার থেকে লালবাগহাটে আসা কুরবান মিয়া জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম খুব একটা বেশি নয়। হাটে গত ঈদের সময় যে গরু ২০-২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল এবার দাম অনেকটাই কম। হাট করতে আসা ক্রেতা জসিম উদ্দিন জানান, এখনও পশু পছন্দ করছি। গরুর চেয়ে ছাগলের দিকে তার আকাংখা বেশী। ছাগল বর্তমানে হাটে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৭ হাজারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। লাগবাগ হাটে গরু বিক্রি করতে আসা এক খামারী জানান, বর্তমানে গরু পালন করতে যে খরচ, গরু বিক্রি করলে তার অর্ধেকও আসছে না। লাগবাগ হাটের ইজারদার দুদু মিয়া জানান, ক্রেতারা যাতে এখানে নির্ভিঘ্নে কেনা-কাটা করে ছাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশী তদারকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিডিপত্র/আমিরুল