Connect with us

দেশজুড়ে

রংপুর বিভাগে এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৫৩ জন প্রাণহানি

Published

on

full_2127672845_1436029809নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর: রংপুর বিভাগে এক মাসে প্রায় ৫৩ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবি, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র শিশু সহ সাধারণ লোক রয়েছে। একেরপর এক সড়ক দুর্ঘনা ঘটলেও এর কোন প্রতিকার নেই।
সুত্রে জানা যায়, ড্রাইভারদের অসচেতনা, সড়কের বেহাল দশা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ নানা কারণে রংপুর বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালের নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে আট জেলায় গত এক মাসে রংপুরে ২০ জন ,কুড়িগ্রামে ৯ জন, লালমনিরহাটে ২জন , নীলফামারিতে ৬ জন , পঞ্চগড়ে ৩ জন , গাইবান্ধায় ৫ জন , ঠাকুরগাঁয়ে ৩ জন ,এবং দিনাজপরে ৫ জন মারা যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় রংপুর এগিয়ে তারপর রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটে লালমনিরহাট জেলায় । গত ২ জানুয়ারি মাসে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মীরপাড়া গ্রামের বাবলু মন্ডল (৪০) মারা যায় । তিনি বাড়ি থেকে দুপুরে মটরসাইকেলে শহর যাওয়ার পথে একটি ট্রাকের ধাক্কা প্রাণ হারায় । গত ৭ জানুয়ারি রংপুর নগরীর ১০ নং ওর্য়াডের জগদীশপুর গ্রামের পল্লব (৩০) ঐ ওর্য়াডের টুকটুকি মোড়ে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায় । গত ১০শে জানুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে টলির ধাক্কায় মানিক (৩০) সহ এক মটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়। গত ১১ জানুয়ারিতে রংপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন মারা যায় । ঘটনার দিন
দুপুরে নগরীর মাহিগঞ্জে যাত্রীবাহি বাসের চাপায় প্রাণ হারায় ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০) । ঐ ঘটনাতে পরে আরও তিন জনের মৃত্যু হয় । একই দিন সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রংপুর সৈয়দপুর মহাসড়কে ঠাকুরটারি নামক স্থানে অটো রিক্সা ও পুলিশ ভ্যান মুখো মুখি সংর্ঘষে জেসমিন (৩০),তার ছেলে আনার (৭) এবং ছফুর উদ্দিন (৫০) সহ তিন জন মারা যায় । এর কয়েক দিন পর আরও তিন জন মারা যায় । এর মধ্যে একজন পুরুষ ও মহিলার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি । ১৪ই জানুয়ারি নীলফামারির ডোমার উপজেলার উজিয়েতুল্লা (৬৫) বাসের ধাক্কায় নিহত হন । একই দিনে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কুমারগঞ্জ এলাকার দুই জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় । এবং ১৪ তারিখে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার বান্নিরঘাট বাজারে ট্রাকের চাপায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মমতা খাতুন মারা যায় ।১৮ তারিখে রংপুরের বদরগঞ্জে এরশাদ ব্রীজের কাছে আমেনা বেগম (৪৫) ও রফিকুল (৫২) নামে দুই ব্যক্তি মারা যায় । ১৯ তারিখে পঞ্চগড়ের দেবীধস উপজেলার জাকিরুল (৪০) ও রেজাউল ইসলাম (৫০) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান । ২০ তারিখে রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যায় তারা হলেন মিঠু (২৫),টিটুল (২৯) ও রাশেদুল । একই তারিখে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দ্রগঞ্জ উপজেলার আঃ খালেখ (৪০) এবং বাসের সুপারভাইজার আশরাফুল (৪৫) প্রাণ হারান। ২২ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলা টলির চাপায় হারিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র সাইদুল (২১) নিহত হয় । ২৩ শে জানুয়ারি নীলফামারি জেলার জলঢাকা উপজেলার বন্দিবাড়ি গ্রামের শাহিন মিয়া (২৪) ও লাবলু মিয়া মটরসাইকেল গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে প্রাণ হারান ।২৫শে জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় মটরসাইকেলের সাথে ভটভটির সংর্ঘষে ছাত্র নেতা পবন কুমার কুন্ডু (৩৬) মারা যান । একই তারিখে কুড়িগ্রামে চার জন মারা যান তারা হলেন জাহানগীর (৪৫) শিশুপুত্র জীম (১০) , মিল্লাত হোসেন (৮) এবং নুর জাহান (৫৫) । গত ২৬ তারিখে নীলফামারী জেলার জলঢাকায় ট্রাক উল্টে শরীফা বেগম (৩২) নামে একজন মারা যায়। একই দিনেই গাইবান্ধার গোবিন্দ্রগঞ্জ উপজেলায় সন্ধ্যার দিকে ট্রাক্টর নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সিরাজুল ইসলাম (৪০) কে ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান । রংপুর বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়কগুলোতে চলাচল করার সময় চরম উৎকন্ঠায় থাকতে হয় ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *