কুড়িগ্রাম
রৌমারীতে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন বানভাসিদের
শাহাদত হোসেন, রৌমারী: রৌমারীতে ব্রহ্মপত্র নদের পানি কমলেও বন্যার পানি বাড়ি থেকে এখনো নামেনি। এখনো শতকরা ৬৫% বাড়িঘরে কোমড় পানি অব্যাহত থাকায় বানভাসিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। ফলে অনেক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে অভাবে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সোমবার সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য চিত্র পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন, পিআইও,চেয়ারম্যান সূত্রে যানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ১৮৪ টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারি ১২টি এবং বেসরকরি ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। সেখানে বসবাস করছে ১৪শ ৫০জন বাসভাসি পরিবার। বানভাসি মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়ার পরেও সংকলন না হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ঝুঁপড়ি তুলে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জিবন যাপন করছে তারা। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে গবাদি পশু ও হাঁসমুরগী নিয়ে।
রৌমারী কেরামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে চার রুম বিশিষ্ট কেন্দ্র রয়েছে। এতে জায়গা না হওয়ায় অন্যান্য শুকনা ক্লাশ রুমগুলো খুলে দিয়েছি সেখানে মানুষ গরু ছাগলসহ এক সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছে।
মির্জাপাড়া ডিসি রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে থাকা ছালাহা বেগম জানান, বাড়িঘরে পানি থাকায় পোলামাইয়া নিয়া আশ্রয় কেন্দ্রে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে ঝঁপড়ি তুলে ৬পরিবার বসবাস করছি। কেউ আমাদের খোঁজ নেয়না। একারণে রৌমারীতে আরো আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানে দাবি জানান বানভাসিরা।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মান সম্মত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানের জন্য অধিদপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা করি আগামি অর্থ বছরে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানের বরাদ্দ পাওয়া যাবে।