জাতীয়
লক্ষ্মীপুরে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ তিনজন, একজনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা হামলার শিকার হওয়া দগ্ধদের মধ্যে মো. লিটন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর মারা যান তিনি।
ঘটনাটি ঘটে জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট আঞ্চলিক সড়কের সরকারি মহিলা কলেজের অব্যবহৃত ভবনের সামনে। রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা ওই পেট্রোলবোমায় আরও তিন যাত্রী দগ্ধ হন। এঘটনায় দগ্ধ অপর ব্যক্তিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মো. আশিক (২২), আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল করিম (৩২) ও লিটন (৩৫)। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নিহতের শ্যালক আলমগীর জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পথে রবিবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজের কাছে তিনি (লিটন) মারা যান।
পরে সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লিটনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
হামলায় নিহত লিটন নাটোর সদর উপজেলার ট্যাবারিয়া ইউনিয়নে রসুলঘর গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে। লক্ষ্মীপুরের পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি। স্ত্র¿ী-সন্তান নিয়ে শ্বশুর তাজুল ইসলামের বাড়িতেই তিনি থাকতেন বলে জানান লিটনের শ্যালক।
নিহত লিটনের স্ত্রী নাজমুন নাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার স্বামী পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলার মজুচৌধুরীর হাটে বালু মহালের একজন শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রায় ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে শিফাত হোসেন নিলয় নামে ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, রবিবার সকাল ১১টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে তার স্বামী লিটন বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে কাজ শেষ করে সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাড়ি আসার সময় পথিমধ্যে পেট্রোলবোমা হামলার শিকার হন তার স্বামী।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আবদুল করিম বলেন, পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পেট্রোল বোমায় নিহত একজন ও আহত আরও দুইজনের পরিবারকে রবিবার সকাল ১১টার দিকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।