Connect with us

স্বাস্থ্য

শিশুদের ”স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস” গড়ে তুলবেন কীভাবে

Published

on

শিশুদের ''স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস'' গড়ে তুলবেন কীভাবেস্বাস্থ্য ডেস্ক: আপনার সন্তান এখন পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভরশীল। তার দরকার সঠিক পুষ্টি। টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন মেনে শুধু খাওয়ালেই কি সঠিক উন্নতি মিলবে? বরং তার মধ্যে গড়ে তুলুন কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।
নিজের সন্তানের দায়িত্ব যখন আপনারই তখন তাকে ভালো জিনিস শেখানোর দায়িত্বও আপনার। তাই তার মধ্যে গড়ে তুলুন কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কারণ এর ওপরে নির্ভর করে আপনার শিশুর বিকাশ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো-

কীভাবে
১) বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফল, সবজি, দুধ, ডিম, মাছ, মাংস প্রভৃতি বেশী পরিমানে রাখুন। এতে আপনার সন্তান ভালো খাবার বেছে নেওয়ার প্রবণতা জন্মাবে।
২) ছোট থেকেই জাঙ্ক ফুডের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অভ্যাসে পরিনত হবে না।
৩) নজর রাখুন যাতে ধীরে ধীরে খাবার খায় শিশুটি। এতে ধৈর্যশক্তিও বাড়বে আবার মনোযোগ দিয়ে খাবার খাওয়া গুড হ্যাবিট।
৪) স্বপরিবার একসঙ্গে বসে খাবার খান। কথায় আছে ‘দ্যাট ফ্যামিলি ইটস টুগেদার, স্টেইস টুগেদার’।
৫) বাচ্চার সাথেই বাজার করুন, তাতে আপনি আপনার বাচ্চার ফুড প্রেফারেন্স বুঝতে পারবেন এবং সেই বুঝে নিউট্রিয়েন্টস দেওয়ার প্ল্যান করুন।
৬) সারাদিন মুখ চালানোর জন্য স্ন্যাক্স দেবেন না। এতে বেশী খেয়ে ফেলা হয়ে যেতে পারে। তাই একটা রুটিন মেনে খাওয়ার দিন। দরকার পরলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৭) চিপস, কুকিস একদমই দেবেন না, তা করবেন না, তাহলে দেখবেন আপনার সন্তান নিজের থেকে অন্যের টিফিন বেশী খাচ্ছে। পার্টি বা অনুষ্ঠানে খেতে দিন। তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়।
৮) টিভি দেখতে দেখতে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয় অনেক বাচ্চার। তা কিন্ত্ত জন্মগত নয়। সময় বাচানোর জন্য এই অভ্যাস আপনিই ধরিয়েছেন ওকে। এমনটা হলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা হতে পারে আপনার ছোট সোনার। বেশী খাওয়া হয়ে যেতে পারে। ফলে ওবেসিটি দেখা দিতে পারে।
৯) খাওয়া নিয়ে কোনও শাস্তি দেবেন না শিশুকে। এ থেকে মানসিক আঘাত সৃষ্টি হতে পারে। খাওয়ার ক্ষেত্রে অরুচি জন্মাতে পারে।
১০) বেশী করে জল খাওয়ার অভ্যাস করান তাকে। জল খেলে শরীরের পার্থক্য গুলো দুর হয়।

কী কী মেনুতে রাখা আবশ্যক-
কম স্নেহপদার্থ বিশিষ্ট দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিম, মাংস, শাক, সবজি, ফল, দানাশস্য।

কী কী বর্জন করবেন?
সফট ড্রিঙ্কস, জাঙ্ক ফুড, স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার।

টিফিন টাইম
আপনার সন্তানের খাওয়ার ক্ষেত্রে শুধু বাড়িতে নজর রাখলেই হয় না। যেহেতু স্কুলে তার দিনের বেশিরভাগ অংশ কাটে তাই তাকে ব্যালান্সড ডায়েট দিন। টিফিনে পোলাও বা ভুনি খিচুড়ি ট্রাই করতে পারেন। এতে পুষ্টি মুল্য অনেক বেশী। স্যান্ডুইচ বানিয়ে দিতে পারেন সন্তানকে। ওটস কিংবা শস্য জাতীয় খাওয়ার দেওয়া যেতে পারে। মাঝে মধ্যে বাড়িতে বানানো হেলদি কুকিস কিংবা কাপকেকও রাখতে পারেন মেনুতে। ফলের সালাদও দিতে পারেন। চেষ্টা করুন রেগুলার একটা করে ফল দিতে।
টিপসে বাচ্চার যদি বিশেষ কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকে তা দেখে নেবেন। সেক্ষেত্রে অল্টারনেটিভ কি জিজ্ঞেস করুন ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানকে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *