Connect with us

দেশজুড়ে

শ্রীনগরে সামাজিক বনায়নের দশ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে দুই কর্মচারী

Published

on

12809857_1713493912254544_359295496_oমুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: শ্রীনগরে উপজেলা বন কর্মকর্তার যোগসাজসে দু দফায় সামাজিক বনায়নের দশ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুই কর্মচারী। গতকাল হাসাড়া-বাড়ৈখালী রাস্তায় সড়জমিনে গিয়ে দেখা যায় বিক্রিত গাছগুলোর সর্ব শেষ ৭টি কেটে ফেলা হচ্ছে। অথচ সামাজিক বনায়নের দরিদ্র উপকার ভোগীরা এর কিছুই জানেননা।
স্থানীয়রা জানায়, দুই মাস পূর্বে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের লিংক রোড হাসাড়া-বাড়ৈখালী রাস্তার ৭ কিলোমিটার অংশে ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজ শুরু হয়। একাজের তদারকি করার জন্য শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ অফিসের ওয়ার্ক এ্যাসিটেন্ট আ ঃ মজিদ ও আ ঃ রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা কাজের এলাকায় আসার পর পরই তাদের লোলুপ চোখ পড়ে রাস্তার দুপাশের সামাজিক বনায়নের বড় বড় গাছগুলোর উপড়। রাস্তার সংস্কার কাজের অজুহাতে তারা প্রথম দফায় একে একে ওই রাস্তার ঋষিবাড়ি, লস্করপুর, আলমপুর ও শ্রীধরপুর পয়েন্ট থেকে প্রায় ২৩ টি গাছ বিক্রি করে দেয়। যেগুলোর মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। ওই সময় গাছ কাটার বিষয়ে আ ঃ মজিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সড়ক ও জনপথের রাস্তার গাছ কাটার জন্য কারো অনুমুতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে গাছ বিক্রির টাকা কোথায় জমা হয়েছে এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা সেলিম হোসেন খান জনান, সরকারের ২০১২ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ যদি সামাজিক বনায়নের গাছ কাটে তবে তা উপজেলা বন কর্মকর্তাকে অবহিত করার কথা। কিন্তু তাকে না জানিয়ে গাছ কেটে নেওয়া হলেও তিনি এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও গ্রহন করেননি। দ্বিতয়ি দফায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাসাড়া ইউনিয় পরিষদের পশ্চিম পাশ থেকে বিক্রিত ৭ টি গাছ কাটা শুরু হয়। এগুলোর মূল্য প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। গাছগুলো কাটার ব্যাপারে ওয়ার্ক এ্যসিটেন্ট আ. রহমান জানান, শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ অফিসের প্রধান প্রকৌশলী হায়দার কামরুজ্জামানের নির্দেশে এবং বন বিভাগের কর্মকর্তা সেলিম হোসেন খানের অনুমুতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে। ওই রাস্তার সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগী হাসাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ জনান, আমরা ওই গাছগুলোর ৫৫ ভাগের মালিক। অনেক কষ্টে গাছগুলোকে বড় করেছি। এখন গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমরা এর কিছুই জানিনা। এব্যাপারে প্রকৌশলী হায়দার কামরুজ্জামান জানান, তিনি গাছ কাটার বিষয়ে কিছু জানেন না। তাছাড়া ওই রাস্তার সংস্কারের জন্য কনো গাছ কাটারও প্রয়োজন নেই। যরা গাছ কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা সেলিম হোসেন খান জানান, সড়ক ও জনপথ অফিসের লোকজন এভাবেই গাছ কেটে নেয়। গতকাল গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যতন মার্মা জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাা নেওয়া হচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *