Connect with us

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতা ও মীমাংসার ওপর ঢাকার গুরুত্বারোপ

Published

on

masudআন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘ সনদে উল্লেখিত ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সংঘাত নিরসনও সমাধানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা, মীমাংসা ও সালিশি ব্যবস্থা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দিনব্যাপী উন্মুক্ত বিতর্কে অংশগ্রহণ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন।আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, ভেনিজুয়েলার প্রতিনিধির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিতর্কে ৬৬টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
‘বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য মূল বিষয় হিসেবে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি সম্মান’ শীর্ষক এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।মোমেন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘ সনদের প্রতি দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আসছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিবৃত অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে তাঁর প্রথম ভাষণে এই অঙ্গীকার কথা ব্যক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাঙালি জাতি অঙ্গীকারবদ্ধ।’ তিনি উল্লেখ করেন, এই আদর্শ দেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, জাতির পিতার দিকনির্দেশনামূলক নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ যুদ্ধের অবসান, রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌম সমতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় কোন হস্তক্ষেপ না করার নীতি সমুন্নত রেখে চলেছে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে জাতিসংঘ সনদে সন্নিবেশিত নীতির ভিত্তিতে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সাথে আলোচনা, সমঝোতা ও সালিশি উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অংশীদারদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি করে আসছে।
তিনি বলেন, এরফলে দেশ শান্তিপূর্ণভাবে ও আপসে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্থল সীমান্ত ও সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে জাতিসংঘ সনদের অঙ্গীকার বিচ্যুতির ব্যাপারে অসন্তোষ ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিভিন্ন তাত্ত্বিক মতবাদ ও ধারণার ভিত্তিতে সনদের মূলনীতি থেকে বিচ্যুতির ন্যায্যতা প্রমাণে গত সাত দশক ধরে আমরা অনেক প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছি। এ প্রসঙ্গে তিনি এ ধরনের বিচ্যুতি রোধে জাতিসংঘের ভূমিকা জোরদারের পরামর্শ দেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *