Connect with us

জাতীয়

সংসদে পাট বিল-২০১৭ পাস

Published

on

পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাট বিল-২০১৭ পাস করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে বিলটির উপর বিরোধী দলীয় সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আদমজীসহ অধিকাংশ পাটকল বন্ধ করে দিয়ে পাটখাতকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের পাট ও পাট খাতের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাটকে কৃষি পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে চাষীদের নানা ধরণের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের ৩০টি দেশে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী করা হচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে পাটের সেই সোনালী অতীত আবারো ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পাস হওয়া বিলে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও প্রসার, গবেষণা ও পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের ক্ষমতা, পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের ক্ষমতা, লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স বাতিল, আপিল করা, আপিল বাতিল, মূল্য নির্ধারণ, বেলিং চার্জ, এজেন্ট ও ব্রোকার, প্রেস, গুদাম ইত্যাদি অধিগ্রহণ করে বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া বিলে পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর উন্নয়ন ফি আরোপ, উন্নয়ন তহবিল গঠন, চুক্তি নিবন্ধন, বিক্রয় নির্দেশ ও নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা, পাটখড়ি থেকে বাণিজ্যক পণ্য উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা, চুক্তি প্রতিপালন নিশ্চিত করার ক্ষমতা, অপরাধ ও দন্ডের বিধানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান রাখা হয়েছে।

বিলটি পাসের সময় সভাপতির আসনে থাকা স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী হাস্যেজ্জ্বল কন্ঠে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘আপনারা পাটের সূতা দিয়ে যে শাড়ি তৈরি করছেন, তা আমাদের কাছে পৌঁছে দিলে পাটের প্রতি আমাদের ভালবাসা আরও বাড়ত।’ এ সময় অন্যান্য নারী সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে স্পীকারকে সমর্থন জানাতে দেখা যায়। জাতীয় পার্টির সংসদ কাজী ফিরোজ রশিদও বিলের ওপর সংশোধনী নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় সংসদের সকল নারী এমপিদের জন্য আগামী ভালবাসা দিবসে একটি করে পাটের সূতা দিয়ে তৈরি লাল শাড়ি দেওয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, পাটের সূতা দিয়ে শাড়ি উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আগামী ৬ মার্চ প্রথমবারের মতো জাতীয় পাট দিবস উদযাপিত হবে। তাই পাটের সুতা দিয়ে উৎপাদিত শাড়ি প্রথম স্পীকারকে দেয়া হবে। এ সময় অন্যান্য নারী এমপিরা একযোগে তাঁদের জন্য শাড়ি দাবি করলে মির্জা আজম বলেন, সবাইকেই পাটের শাড়ি দেয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *