Connect with us

ঢাকা বিভাগ

সংসদ উপনেতার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

Published

on

আবু নাসের হুসাইন ,সালথা (ফরিদপুর ) প্রতিনিধি :saltha-awamilege-pic-1
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সিনিয়র সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি’র জ্যেষ্ঠপুত্র নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ সাহিদুজ্জামান সাহিদের সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার সকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক-উজ্জামান ফকির মিয়া ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান।

লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাননীয় সংসদ উপনেতার জ্যেষ্টপুত্র বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১লা নভেম্বরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, উহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বলা হয়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের পিতা মোঃ হারেজ মাতুব্বার ১৯৭১Ñএ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির অন্যতম সদস্য ও কুখ্যাত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের দোসর ছিলো। দেলোয়ারের পরিবারের কেউ কোন দিন আওয়ামী লীগ করেনি। তারা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে আগত। ২০০৮ সালের ২২,২৩ ও ২৪ মার্চ দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনের তান্ডবে ইউসুফদিয়া গ্রামে ৭৬টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট হয়। এছাড়া উপজেলার বড়কামদিয়া, খারদিয়া, বালিয়া গট্টি, ভাবুকদিয়া, বাউশখালী, সোনাতন্দী, রাঙ্গারদিয়া, যোগারদিয়া, সোনাপুর, বাতাগ্রাম, কাগদি, রামকান্তপুর ও খাগড়-সেনহাটিসহ অসংখ্য গ্রামে লুটপাট এবং ভাংচুর হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন এবং সাব্বির চৌধুরীসহ তথাকথিত ব্যক্তিরা সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে, সালথা-নগরকান্দার গণমানুষের নেতা, জননেতা আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র মূলক তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কারন, দেলোয়ার হোসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় দূর্ণীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে খাল খনন, আশ্রয়ন প্রকল্প, পুকুর খনন, এইচ বিবি রাস্তা, ঠিকাদার, ব্রীজের কাজে থেকে কমিশন সহ জমি দখল ও চাঁদা আদায় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার ভাই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ২ শতাধিক লোক আমার বাড়ি-ঘর আক্রমন করে দুই দিন যাবৎ অবরুদ্ধ করে রাখে। দেলোয়ার হোসেন গং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হিসাবে পরিচিত। আসলে তারা কখনই আওয়ামী লীগের মঙ্গল চায় না।

এদিকে সালথায় চৌধুরী সাব্বির আলীর জন্য মডেল স্কুল মাঠে কবর খনন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, আসলে কারো জন্য কবর খনন করা হয়নি। সালথা মডেল স্কুল মাঠে কয়েকদিন ধরে ক্রিকেট খেলার ক্রীচ সংস্কারের কাজ চলছে। অন্যদিকে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেনকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ২০০৮ ইং সাল থেকে বাদল হোসেন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে পরিচিত এবং সংসদ উপনেতা ও জননেতা বাবলু চৌধুরীর একজন নিবেদিত কর্মী।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে ষড়যন্ত্রকারী, মিথ্যাবাদী ও দূর্ণীতিবাজ দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও সাব্বির চৌধুরী গংদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ ও দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি আমরা সালথা উপজেলা বাসী।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হাসান খান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন, ফুলসুতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেন, বল্লভদি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, গট্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু, রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী লিটু, নগরকান্দা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈদুল ইসলাম লিখন, সালথা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন, মামুন মিয়া, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ টুটু, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাতুব্বার সহ স্থানীয় নেতা কর্মীবৃন্দ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *